চীন ইরানের বিষয়ে আরো ‘নমনীয়তার’ ডাক দিয়েছে
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কিন গাং সাংবাদিকদের বলেন যে, সংশ্লিষ্ট পক্ষদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাড়ানো উচিৎ৷ অপরদিকে তিনি পুনরায় কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় ইরানের পরমাণু ইস্যুটি সমাধানের কথা বলেন৷ কিন যোগ করেন যে, চীন আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ'র সর্বাধুনিক রিপোর্টটি সম্পর্কে ‘‘অবহিত'', এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষরা আইএইএ'র সঙ্গে সহযোগিতা চালিয়ে যাবে বলে বেইজিং আশা করে৷ চীনের এই প্রতিক্রিয়ার পটভূমি হিসেবে বলা যায় যে, বেইজিং ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং খনিজ তেলের ক্ষেত্রেও ইরানে চীনের ব্যাপক স্বার্থ রয়েছে৷ এছাড়া চীন গোড়া থেকেই দৃঢ়ভাবে ইরানের বিরুদ্ধে আরো কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিরোধিতা করে এসেছে৷
ওদিকে ইরান সোমবার ঘোষণা করে যে, আগামী মাস থেকে আরো দু'টি নতুন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ স্থাপনা তৈরির কাজ শুরু হতে পারে৷ ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রধান আলি আকবর সালেহি ইসনা সংবাদ সংস্থাকে এ-খবর জানান৷ সালেহি বলেন যে, নতুন সাইটগুলির সমৃদ্ধিকরণের ক্ষমতা নাটানস স্থাপনাটির মতোই হবে৷ অপরদিকে তাঁর যে মন্তব্যটি পরিবর্তিত পরিস্থিতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, সেটি হল: এই নতুন স্থাপনাগুলিকে আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পাহাড়ি এলাকায় লুকিয়ে রাখা হবে৷ এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলির উপর সামরিক আক্রমণের সম্ভাবনা নাকচ করেনি৷ এবং গত রবিবারেই সর্বোচ্চ মার্কিন জেনারেল ডেভিড পেট্রেয়াস ইরানের উপর চাপ বৃদ্ধি করার কথা বলেছেন৷ আর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু তো সোমবারেই আবার বলেন যে, ইরানের তেল রপ্তানির উপর নতুন বাধানিষেধ আরোপের সময় হল ‘‘এখন'', অর্থাৎ এই মুহূর্তে৷
সরাসরি আক্রমণের চিত্রনাট্যটি নিয়ে আরো অনেকে ভাবছে৷ তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তায়িপ এর্দোয়ান একটি সংবাদপত্র সাক্ষাতকারে বলেছেন যে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলির উপর ইসরায়েলের প্রতিরোধমূলক আক্রমণ একটি ‘‘অকল্পনীয় ফলশ্রুতির বিপর্যয়''৷ এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি আহানি হুমকি দিয়েছেন: ইরান যু্দ্ধ শুরু করবে না, কিন্তু আক্রান্ত হলে জোরালো প্রতিক্রিয়া দেখাবে৷
প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক