1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের মতিগতিতে ভারতের কপালে ভাঁজ

১ সেপ্টেম্বর ২০১০

পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের গিলগিট-বাল্টিস্তান অঞ্চলে চীনের সামরিক উপস্থিতির কথিত খবর ও ভারত মহাসাগরে চীনা নৌবহরের অতিরিক্ত গতিবিধির প্রেক্ষিতে, ভারতের সুরক্ষা নিয়ে নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠক হয় বুধবার৷

https://p.dw.com/p/P1mu
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণা: ভারত পুরো পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেছবি: AP

পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের গিলগিট-বাল্টিস্তান অঞ্চলে চীনের সাত থেকে এগারো হাজার সেনা মোতায়েন, ভারত মহাসাগরে চীনা নৌবহরের গতিবিধি প্রয়োজনের তুলনায় বেড়ে যাওয়া, অরুণাচলপ্রদেশ ইস্যু, ভারতের নর্দান-কমান্ডের প্রধান লেঃ জেনারেল বি.এস যশওয়ালকে বেজিং যাবার ভিসা না দেয়া, যেহেতু নর্দান-কমান্ডে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর পড়ে বলে৷ একের পর এক চীনের এই বৈরী মনোভাব বাড়িয়ে তুলেছে ভারতের অস্বস্তি৷

এর প্রেক্ষিতে, প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর নেতৃত্বে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়৷ স্থির হয়, সরকার তার নিজস্ব পথে এর সত্যতা যাচাই করবে৷ এবং ঐ খবর যদি সত্য হয়, তাহলে ভারত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে৷ আলোচনা সভায়, ভারত পুরো পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে, বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণা৷ আর লাদাক এলাকায় ভারতের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি তুলে ধরেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ.কে অ্যান্টনি৷ উল্লেখ্য, ভারতের ‘লুক ইস্ট' নীতির অঙ্গ হিসেবে আগামিকাল প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যান্টনি যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়া সফরে৷ সেখানে তিনি বৈঠক করবেন দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে৷

Indien Verteidigungsminister A. K. Antony
প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ.কে অ্যান্টনিছবি: AP

এদিকে, গিলগিট ও বাল্টিস্তানে চীনা সৈন্য মোতায়েনের খবরকে ভিত্তিহীন বলেছে পাকিস্তান৷ ঐ অঞ্চলে হালের বন্যা দুর্গতদের ত্রাণে চীনের এক মানবিক সাহায্যকারী দল সেখানে রয়েছে, সেনা নয়৷ নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ঐ এলাকার বিদ্রোহী জনগণকে দাবিয়ে রাখতেই পাকিস্তান চীনা সৈন্য মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছে৷ দ্বিতীয়তঃ, পাক-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর দিয়ে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে পৌঁছোতে চীনের সুবিধা করে দিতে গতমাসে বেজিং-এ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জারদারি চীনের সঙ্গে যে চুক্তি করেন, তাতে চীন ঐ এলাকায় তৈরি করবে রেল ও সড়ক পরিকাঠামো৷ তাতে শুধু ব্যবসা বাণিজ্যই নয়, ঐ অঞ্চলে চীনের কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ কায়েম হবে৷

চীনের ভারত নীতি প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক ইমনকল্যাণ লাহিড়ি ডয়চে ভেলেকে বলেন, চীনের বিদেশ নীতি নিয়ে কোন ভবিষ্যদ্বানী করা যায়না৷ যেসব বিষয়ের ওপর ভারত-চীন সম্পর্ক নির্ধারিত তার মধ্যে আছে তিব্বত ইস্যু, সীমান্ত বিরোধ এবং ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের যে রেখাচিত্রটা আছে, তার ওপর৷ এছাড়া, নামে ভারত মহাসাগর হলেও ভারত মহাসাগর কখনই ভারতের নয়৷ অতীতে বড়বড় শক্তিগুলি ভারত মহাসাগরে নজরদারি চালিয়েছিল৷ এখন উদীয়মান শক্তি হিসেবে চীন তার সামরিক আধিপত্য বিস্তার করতে চাইবে৷ তাই ভারতকেও সেবিষয়ে সজাগ ও সক্রিয় থাকতে হবে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ