1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনা বাজারে বাংলাদেশী পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে

১৯ মার্চ ২০১০

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রয়েছেন চীন সফরে৷ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাওয়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে স্বাক্ষরিত হয়েছে তিনটি চুক্তি৷

https://p.dw.com/p/MWTn
চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাওয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন শেখ হাসিনাছবি: AP

চীন সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানো হয়েছে, চীন তার বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেবে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা বৃদ্ধি করবে৷

বৃহস্পতিবার চীনের রাজধানীতের গ্রেট হলের ইস্ট হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাওয়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠকটি ছিল খুবই হৃদতাপূর্ণ৷ এই বৈঠকেই চীনা পক্ষ এ আশ্বাস দেয়৷

বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীনের কাছে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী সহায়তা ও অনুদান এবং বাংলাদেশের কৃষি, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতে সাতটি প্রকল্প বাস্তবায়নে বৈদেশিক উন্নয়ন সহযোগিতার ভিত্তিতে স্টেট-টু-স্টেট ঋণ অনুমোদন চেয়েছে৷

Bangladesch Sheik Hasina in Dhaka
হাসিনা পাঁচ দিনের সফরে চীনে রয়েছেনছবি: AP

জিয়াবাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছেন যে, 'বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন খাতে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে৷'তিনি আশা প্রকাশ করেন, তার যোগ্য নেতৃত্বে ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ এই খাতগুলোতে বাংলাদেশ আরো সাফল্য অর্জন করবে৷

বাংলাদেশের উন্নয়ন খাতে চীনের সহায়তার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে চীনা সহযোগিতা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে৷

প্রতিরক্ষা সহযোগিতার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ সহায়তার অধীনে তিনটি হেলিকপ্টারসহ দুটি ফ্রিগেট প্রদান করতে চীনা সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন৷

আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে চীন, ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যেকার সম্পর্ক সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে আরো জোরদার করতে হবে৷

তিনি বলেন, এ অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে৷

গ্রেট হলে বাংলাদেশ এবং চীনা প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, কারিগরি, অবকাঠামো ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে তিনটি চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে৷

চুক্তিগুলো হচ্ছে- উল্লেখযোগ্য মঞ্জুরিসহ অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা চুক্তি, শাহজালাল সার কারখানা নির্মাণ সংক্রান- কাঠামো চুক্তি ও সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ চুক্তি৷ এছাড়া তেল ও গ্যাস খাতে বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতা সংক্রান্ত- সমঝোতা স্মারক৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: জাহিদুল হক