1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘চিহ্নিত জঙ্গিদের অনেকেই জামায়াতে ইসলামির হয়ে কাজ করছে'

১ জুন ২০১০

চিহ্নিত জঙ্গিদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামির যোগাযোগ, ঢাকার পল্টন এলাকায় ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল ও সমাবেশ করার চেষ্টা এবং জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া পরিবর্তন – এই সব খবর বাংলাদেশের সংবাদপত্রে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে৷

https://p.dw.com/p/NeJW
‘বাংলা ভাই’ পর্ব শেষ হওয়ার পরেও জঙ্গি তৎপরতা লোপ পায় নিছবি: DW

জেএমবি ও জামায়াতে ইসলামি

সম্প্রতি জেএমবি প্রধান সাইদুর রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গি তৎপরতার চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা চলছে৷ দৈনিক ‘কালের কণ্ঠ'এর ইন্টারনেট সংস্করণের একেবারে শীর্ষে এবিষয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে৷ ‘কালের কণ্ঠ' লিখছে, উত্তরাঞ্চলের চিহ্নিত জঙ্গিদের অনেকেই এখন জামায়াতে ইসলামির হয়ে কাজ করছে৷ তাদের অনেকে আগে থেকেই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল৷ অনেকে আবার নিরাপত্তার স্বার্থে ইদানীং কৌশল পাল্টে জামায়াতে ঢুকেছে৷ এসব দ্বিমুখী জঙ্গির মধ্যে অনেকে আছে যারা আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে যুদ্ধ করছে এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে৷ কেউ কেউ উত্তরের সীমান্ত এলাকায় আস্তানা গেড়ে প্রশিক্ষণ ও সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে৷ এসব প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি যুদ্ধাপরাধের বিচার ও আগামী সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে জামায়াতের ছত্রচ্ছায়ায় গোপনে সংগঠিত হচ্ছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারণা৷

ঢাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ

‘ভোরের কাগজ'এর ইন্টারনেট সংস্করণে লেখা হয়েছে, গতকাল রাজধানীর পল্টন এলাকায় ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল ও সমাবেশ করার চেষ্টা ও অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারার অভিযোগে জামাতের ৮০ জন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ৷ বায়তুল মোকাররম মসজিদে ফজরের নামাজ শেষে বেরিয়ে তারা মিছিল নিয়ে পল্টন ময়দানে সমবেত হওয়ার চেষ্টা করছিল৷

জাতীয় শিক্ষানীতির নবায়ন

‘প্রথম আলো'র ইন্টারনেট সংস্করণে যে বিষয়টি স্থান পেয়েছে, তার সঙ্গে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে৷ ‘প্রথম আলো' লিখেছে, জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া থেকে শেষ পর্যন্ত ‘ধর্মনিরপেক্ষতা' শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে৷ এর বদলে যুক্ত করা হয়েছে ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধ'৷ গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রায় এক বছর ধরে আলোচিত জাতীয় শিক্ষানীতি অনুমোদিত হয়েছে৷ খসড়া শিক্ষানীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মধ্যে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা' শব্দটি উল্লেখ করায় বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক দল ও চারদলীয় জোটের অনুসারীরা এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷ এটিসহ কিছু বিষয়কে কেন্দ্র করে আন্দোলনও শুরু হয়৷ তাদের বক্তব্য ছিল, দেশের বতর্মান সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার উল্লেখ নেই৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়