চিড়িয়াখানায় মিশ্র ভালুকদের বসবাস
জার্মানির ওসনাব্রুকের চিড়িয়াখানায় ভালুক টিপস এবং ট্যাপস স্বেত ভালুকও না আবার বাদামি ভালুকও নয়৷ দুটোর মাঝামাঝি কিছু একটা৷ মিশ্র ভালুকগুলো অন্য ধরণের হলেও ওদের মধ্যে সাধারণ ভালুকদের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷
চিডিয়াখানায় সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে
২০০৪ সালে জার্মানির ওসনাব্রুক শহরের চিড়ায়াখানায় মিশ্র ভালুক টিপস ও ট্যাপসের জন্ম৷ তারপর থেকে ভালুক যুগল অন্যন্য জন্তুদের মধ্যে একেবারে তারকা বনে গেছে৷ ওদের গায়ের রং এবং লোম যে অন্য রকম তা প্রথম দেখেই বোঝা যায়৷
ভালুক দল
ওসনাব্রুকের এই চিড়িয়াখানায় আগে বিভিন্ন সাইজ, রং-এবং ধরণের ভালুকের বসবাস ছিল একসাথে৷ চিড়িয়াখানা রক্ষক সেভাবেই সব ভালুককে একসাথে মিশিয়ে রাখতেন৷ আর সেজন্যই তখন ওসনাব্রুকের এই চিড়িয়াখানাকে বলা হতো ‘‘গৃহপালিত পশুর চিড়িয়াখানা’’৷
টিপস, ট্যাপসের বাবাকে খোঁজা হচ্ছে
সব জাতের ভালুক যে একসাথে মিশে যাবে তা বোধহয় কেউ সেভাবে ভাবেনি৷ প্রথম লক্ষ্য করা হলো যখন ভালুক সুজির বাচ্চা ময়ের মতো বাদামি না হওয়ায়৷ অর্থাৎ টিপস এবং ট্যাপসের গায়ের রং হয়েছে ক্যারামেলের মতো৷ এখন প্রশ্ন, ওদের বাবা তাহলে কে?
বন্ধুর সাহায্য
এই কাণ্ডে যে স্বেত ভালুক এলভিসের (ডানে) হাত রয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে৷ টিপস আর ট্যাপসের গায়ের রং দেখেই যে শুধু মনে হয় তা নয়৷ স্বেত ভালুক এবং বাদামি ভালুকের সম্পর্কও কিছুটা বলে দেয়৷
আরোহণশিল্পী
অল্প বয়স থেকেই বোঝা গেছে যে মিশ্র ভালুক যুগল ওপরে উঠতে বা আরোহণ করতে ভালোবাসে যা বাদামি ভালুকরাই সাধারণত বেশি করে থাকে৷ যা স্বেত ভালুকরা বেশি পছন্দ করে না৷
ঠিক যেন ‘মা’
মেয়ে টিপস মায়ের অনেক কিছুই যেন উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছে৷ মায়ের মতো ছোট কান আর খাওয়া-দাওয়া পছন্দের ব্যাপারেও মায়ের মতো৷ অর্থাৎ মায়ের মতো নিরামিষ খেতেই তার বেশি পছন্দ৷
লোম পরিবর্তন
দু’জনেরই লোম পরিবর্তন হয় বছরে দু’বার৷ তবে গরম আবহাওয়ায় ওদের দেখতে বেশিরভাগই মা সুজির মতো লাগে আর শীতের সময় অর্থাৎ, বরফ আর তুষারপাতের সময় বাবা স্বেত ভালুকের মতো অনেকটা৷
জলকেলি
টিপস আর ট্যাপস দু’ভাইবোন এখনো বাবা স্বেতভালুকের মতো পানিতে ভালো ডুব দিতে পারেনা কিন্তু তাই বলে পানি থেকে দূরেও থাকতেও পছন্দ করেনা৷ কারণ মা বাদামি ভালুকও খুব ভালো সাঁতারু৷