চলে গেলেন ভল্ফগাং ভাগনার
২২ মার্চ ২০১০গত ৫৭ বছর ধরে তিনি বায়রয়েট উৎসবের পরিচালক ছিলেন৷ বায়রয়েট সঙ্গীত উৎসবের ওয়েবসাইটে এক প্রাথমিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘তিনি তাঁর সমস্ত জীবন তাঁর বিখ্যাত পিতামহের সঙ্গীত ঐতিহ্যের জন্য উৎসর্গ করে গেছেন৷'' তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে অপেরা জগতের একটি অধ্যায়ের ইতি ঘটল৷
জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য বাভারিয়ার এই বায়রয়েট সঙ্গীত উৎসব ‘রিশার্ড ভাগনার উৎসব' হিসেবেও পরিচিত৷ ১৮৭৬ সাল থেকে চালু রয়েছে এই অপেরা উৎসব৷ তবে, এই উৎসবের আধুনিক ধারার যাত্রা শুরু পঞ্চাশের দশকে৷ ভল্ফগাং ভাগনার এবং তাঁর ভাইয়ের হাতে৷
কিংবদন্তী জার্মান সঙ্গীতজ্ঞ রিশার্ড ভাগনারের দৌহিত্র ভল্ফগাং ভাগনার ১৯১৯ সালের ৩০ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন৷ রিশার্ড ভাগনারের ছেলে সিগফ্রিড ভাগনারের তৃতীয় সন্তান ভল্ফগাং ভাগনার৷ তাঁর মা উইনিফ্রেড ভাগনার নাৎসিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন৷ ১৯৫১ সালে আদালত উইনিফ্রেডকে এই উৎসবের পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দিলে ভাই ভিলান্ড ভাগনারের সঙ্গে মিলে বায়রয়েট উৎসবের দায়িত্ব নেন তিনি৷
এই দুই ভাইয়ের প্রচেষ্টায় অপেরা উৎসবটি একপ্রকার নবজন্ম লাভ করে৷ ১৯৬৬ সালে বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর উৎসবের দায়িত্ব চলে আসে ভল্ফগাং ভাগনারের একার কাঁধে৷ এ সময়ে মহান সঙ্গীতজ্ঞ রিশার্ড ভাগনারের ঐতিহ্যবাহী ধারার পাশাপাশি নতুন ধারার নিরীক্ষামূলক অপেরা যোগ করেন এবং সমসাময়িক বিখ্যাত অপেরা পরিচালকদের এই উৎসবে আমন্ত্রণ জানান তিনি৷ বায়রয়েট উৎসবে কাজ করতে শুরু করেন ‘ডয়েচে ওপার বার্লিন'-এর গোয়েৎস ফ্রিডরিশ, রয়াল শেক্সপিয়ার কোম্পানির স্যার পিটার হল এবং ‘বার্লিনার এনসেম্বল'-এর হাইনার ম্যুলার এর মতো খ্যাতিমান অপেরা পরিচালকরাও৷ এভাবে বছরের পর বছর ধরে বিশ্ব অপেরার জগতে নিত্যনতুন আকর্ষণ নিয়ে খ্যাতি ধরে রাখে বায়রয়েট উৎসব৷
প্রতিবেদন : মুনীর উদ্দিন আহমেদ
সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক