চলে এলো ২০১৫!

জাপানকে বলা হয় সূর্যোদয়ের দেশ৷ যেসব দেশে প্রতিদিন সূর্যের রশ্মি আগে কিরণ ছড়ায়, সেসব দেশের একটি জাপান৷ স্বভাবতই নতুন বছর বরণের উৎসবও জাপানেই আগে শুরু হয়৷ আকাশে বেলুন উড়িয়ে এ বছরের শুরটা করেছে সেদেশ৷

সিডনি হার্বারের কাছে বর্ষবরণের জন্য হাজির হন দশ লাখেরও বেশি মানুষ৷ বিখ্যাত সিডনি অপেরা হাউস এবং সংশ্লিষ্ট সেতুর চারপাশটা আতশবাজির আলোয় এভাবেই আলোকিত হয়ে ওঠে নতুন বছরের প্রথম প্রহরে৷

যদিও পিয়ংইয়ং সাধারণত বাইরের বিশ্ব থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে রাখে, তারপরও নতুন বছরটা তারা একসঙ্গেই পালন করেছে৷ উত্তর কোরিয়ার রাজধানীর আকাশ বর্ষবরণের রাতে এভাবেই আলোকিত ছিল৷

চীনে নতুন বছরটা শুরু হয়েছে এই বিয়োগান্তক ঘটনার মধ্য দিয়ে৷ সাংহাইয়ে বর্ষবরণের উৎসবে হুড়াহুড়িতে পায়ের তলার চাপা পড়ে মারা গেছেন ৩৫ ব্যক্তি৷

মঙ্গলবার মধ্যরাতের আগে এভাবেই মোমবাতি জ্বালিয়ে রবিবার এয়ারএশিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণ করেন ইন্দোনেশিয়ার মানুষ৷

দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষরা মূলত তাদের রাজধানী সৌলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন৷ ছবিতে বৌদ্ধদের একটি মন্দিরের সামনে বর্ষবরণের রাতে ‘সেলফি’ তুলছেন এক জুটি৷

বর্ষবরণের রাতে দুবাইয়ে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফা বিশেষভাবে আলোকিত করা হয়৷ পুরো ভবনটি আলোকিত করতে সত্তর হাজারের মতো এলইডি প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে৷

ইউরোপের মধ্যে মস্কোতে সবার আগে শুরু হয় বর্ষবরণের উৎসব৷ লাল এবং সবুজ আতশবাজির খেলা দেখতে মস্কোর রেড স্কয়ারে হাজির ছিলেন হাজার হাজার মানুষ৷

বার্লিনবাসীর বর্ষবরণ উৎসবে অন্যান্যদের মধ্যে হাজির ছিলেন ‘বেওয়াচ’ তারকা ডেভিড হাসেলহফ৷ ব্রান্ডেনবুর্গ গেটে স্টেজে হাজির ছিলেন তিনি৷ ২৫ বছর আগে বার্লিন প্রাচীরের পতনের পরও এখানে অনুষ্ঠান করেছিলন ডেভিড৷