চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের নির্বাচনে সংঘাত-সংঘর্ষ
১৮ জানুয়ারি ২০১১নোয়াখালীর সেনবাগ পৌরসভার নির্বাচন বাতিল করায় সেখানে বুধবার আধাবেলা হরতাল ডেকেছে স্থানীয় বিএনপি৷ অথচ বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ করলে নির্বাচন বাতিল করা হয়৷ অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা সেনবাগ এলাকায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছেন৷ সেখানকার অবস্থা এখন থমথমে৷ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ নোয়াখালি সদর পৌরসভার ১৮টি কেন্দ্রের নির্বাচনও বাতিল করা হয়৷ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ভোট ডাকাতির অভিযোগ করে নোয়াখালির সব পৌরসভায় নির্বাচন বাতিলের দাবি জানান৷
এছাড়া লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ছেংগারচর, নঙ্গলকোট, পরশুরাম ও হবিগঞ্জ এলাকায় গোলযোগ, সংঘর্ষ ও ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ পরশুরামে ব্যালট বাক্স ছিনতাই, হবিগঞ্জে দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, নাঙ্গলকোটে ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও ফেনীতে প্রিসাইডিং অফিসারকে মারধোরের ঘটনা ঘটেছে৷
নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা এবং বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্যের বাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু তাহেরের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্র দখল এবং ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগ করে প্রতিদ্বন্দ্বিরা নির্বাচন বর্জন করছে৷ আবু তাহের অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করছেন৷
অভিযোগ জানাতে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল বিকেলে ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অফিসে গেলেও কোন নির্বাচন কমিশনার তাদের সঙ্গে দেখা করেননি৷ তারা জানিয়েছেন, ভোটের দিন কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলবেন না৷ এরপর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মীর্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন নির্বাচনে সহিংসতা এবং অনিয়মে নির্বাচন কমিশনের সায় আছে৷
পরে নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন সাংবাদিকদের জানান, দু'একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন