বহুদূরে কাজ করেন যাঁরা...
২০ আগস্ট ২০১৬৩৩ বছর বয়সি জামাল জীবনের অধিকাংশ সময় নিজের বাড়ি এবং পরিবার থেকে বহুদূরে দিনমজুরের এবং ঝুকিপূর্ণ কাজ করেছেন৷ তাঁর মতো আরো অনেক দরিদ্র মানুষ এভাবে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র কাজের খোঁজে যান৷
নিজের মোবাইলে মেয়ের চাঁদপানা মুখটা দেখিয়ে জামাল বলেন, ‘‘আমার চাষের কোনো জমি নেই৷ পরিবারে আমিই শুধু কর্মক্ষম৷ বাড়ি থেকে বহুদূরে থাকা অনেক কঠিন৷ কিন্তু তারপরও আমি আমার সন্তানের ভালো ভবিষ্যত গড়তে কাজ করছি৷''
ঢাকার অদূরে কেরানিগঞ্জে একটি ছোট্ট অ্যালুমিনিয়াম রিসাইক্লিং ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন জামাল৷ সেখানে দিনে বারো ঘণ্টা কাজ করা নারী, পুরুষদের থাকার আবাসও রয়েছে৷ বুড়িগঙ্গা নদীর কাছে ছোটছোট অস্থায়ী বস্তিতে বাস তাদের৷ কোনোরকম প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই ক্যান, শিল্পাঞ্চলের ছাই এবং ঔষধের প্যাকেট থেকে কাঁচা অ্যালুমিনিয়াম সংগ্রহের কাজ করেন তারা৷ এ জন্য দৈনিক মজুরি প্রায় আটশো টাকার মতো৷
কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, কেন অনেকে নিজের দেশের মধ্যেই এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যান এরকম ঝূঁকিপূর্ণ কাজ করতে? উত্তর হচ্ছে, বাংলাদেশের ষোল কোটি মানুষের মধ্যে চার কোটির বেশি মানুষ দৈনিক ১৮০ টাকা রোজগারের উপর চলতে বাধ্য হন৷ সেই তুলনায় দৈনিক আটশ টাকা অনেক ভালো মজুরি৷ তাই, অনেকেই ঝুঁকির কথা জেনেও কঠিন কাজ বেছে নেন৷