1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিসের বাজেট ঘাটতি মোকাবিলা পরিকল্পনায় ইইউ-এর অনুমোদন

৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঋণে জর্জরিত সদস্য দেশ গ্রিসকে তার বিপুল অংকের বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সময় দিয়েছে ২০১২ সাল পর্যন্ত৷ গ্রিক প্রধানমন্ত্রীর ঘাটতি থেকে উদ্ধার পরিকল্পনায় সম্মতি মেলার শর্তে এই কথাই বলা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/LrSa
ছবি: picture-alliance / Bildagentur Huber/AP/Montage DW

অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী পাপান্দ্রেউর ঐ পরিকল্পনায় অনুমোদন দেবার সঙ্গে সঙ্গে, দীর্ঘ মেয়াদে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তার কথা জানালেও, বলে দিয়েছে বাজেটের এই বিষয়টি থাকবে তাদের কড়া নজরে৷ এই প্রথমবারের মত ইউরোপীয় ইউনিয়ন কোন সদস্য দেশের বাজেটের উপর এ ধরণের কড়া মনিটরিং ব্যবস্থা নেবার কথা জানালো৷

ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণের বোঝা রয়েছে গ্রিসের ঘাড়ে৷ একই সঙ্গে জুড়ে বসেছে বাজেট ঘাটতি৷ বর্তমানে এই ঘাটতির পরিমাণ মোট জাতীয় উৎপাদনের ১২ দশমিক সাত ভাগে এসে পৌঁছেছে৷ মোট অংক প্রায় ২৯৪ বিলিয়ন ইউরো৷ এ অঞ্চলের জন্য বাজেট ঘাটতি সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়া রয়েছে ৩.০ শতাংশ৷ এই ঘাটতির বড় প্রভাব এসে পড়েছে ইউরোপের দেশগুলোর একক মুদ্রা ইউরোর উপর৷ গ্রিস সরকারের এই পরিকল্পনায় অনুমোদনের প্রথমেই একটি সুফল কিন্তু দেখা গিয়েছে, আর তা হলো ডলারের বিপরীতে কমতে থাকা ইউরোর দামে চাঙ্গা ভাব৷

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী পাপান্দ্রেউ সম্প্রতি, ২০১৩ সাল নাগাদ দেশটির বাজেট ঘাটতি শূন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন৷ ৩০০ বিলিয়ন রাষ্ট্রীয় ঋণ এবং প্রায় ১৩ শতাংশ বাজেট ঘাটতির ফলে দেশটির দেউলিয়া হবার এবং তার সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবার বিপদ রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন৷গ্রিসের অর্থমন্ত্রীও এ সঙ্কটকে সেদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বলে মন্তব্য করেন৷

ভয়াবহ ঋণ পরিস্থিতির সম্পর্কে সেখানকার এক সংবাদপত্রের ভাষ্য গ্রিক অর্থনীতির জন্য ঋণের সুবিধা এখন জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে৷'

জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পাপান্দ্রেউ দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং কর ফাঁকি দেওয়ার বিরুদ্ধে সংগ্রামের আহ্বান জানিযেছেন তার দেশের মানুষের প্রতি৷ ভগ্নদশা অবসরভাতা তহবিলগুলিকে জোড়াতালি দিয়ে এর সংখ্যা কমিয়ে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করা হবে বলেও উল্লেখ রয়েছে তার পরিকল্পনায়৷ দেশের রাজস্ব বাড়াতে ব্যাংকিং খাতে বোনাসের উপর ৯০ শতাংশ কর আরোপের সিদ্ধান্ত রয়েছে তাঁর৷ এছাড়া সামরিক বাহিনীর খরচে লাগাম পরানোর কথাও কথাও রয়েছে তাঁর পরিকল্পনায়৷ এখন থেকেই কার্যকর শুরু হবে তাঁর পরিকল্পনা৷ এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১১ সালের মধ্যে ঘাটতি কমিয়ে আনা হবে বছরে ২.০ শতাংশ৷ আর ২০১৩ সাল নাগাদ জিডিপি'র ৩.০ শতাংশেরও নিচে আনা হবে ঘাটতি অঙ্ক৷

অবশ্য ইউরোপীয় কমিশন জোর দিয়েই বলছে, কেবল পরিকল্পনা যথেষ্ট নয়, এর বাস্তবায়নও প্রয়োজন৷ আর এই বাস্তবায়নে কোন ঘাটতি থাকলে চলবে না৷ আগামী মার্চ মাসের মধ্যে এই পরিকল্পনায় কতটুকু সুফল পাওয়া গেলো তা জানাতে হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে৷ একই সঙ্গে গ্রিসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় খাতের খরচ না কমালে আশানুরূপ ফল পাবে না গ্রিস৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক