1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিসের উপর আরও চাপ বাড়ছে

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থমন্ত্রীরা আবার গ্রিসের উপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করতে বেশ কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা করেছেন৷

https://p.dw.com/p/M3Q9
স্পেনের অর্থমন্ত্রী এলেনা সালগাদো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ বাজার সংক্রান্ত কমিশনর মিশেল বার্নিয়েছবি: AP

১৬টি দেশ – একটি মুদ্রা৷ এর মধ্যে কোন একটি দেশে মারাত্মক আর্থিক সঙ্কট দেখা দিলে একক সাধারণ মুদ্রার উপর চাপ পড়তে বাধ্য৷ সেক্ষেত্রে বিষয়টি আর কোন একটি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আবদ্ধ থাকতে পারে না – সম্মানজনক না হলেও বাইরে থেকে হস্তক্ষেপ মেনে নিতেই হয়৷

গ্রিসকেও এই মুহূর্তে এমন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হজম করতে হচ্ছে৷ বছরের পর বছর ধরে ভুল তথ্য-পরিসংখ্যান দেখিয়ে সেদেশ তার বাজেটের মারাত্মক ঘাটতির প্রকৃত মাত্রা গোপন রাখতে সক্ষম হয়েছিল৷ মঙ্গলবারই গ্রিসের সরকার তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ঘোষণা করেছে৷ যেসব দেশে অভিন্ন মুদ্রা ইউরো চালু আছে, সেখানে বাজেট ঘাটতির মাত্রা ৩ শতাংশের নিচে রাখা বাধ্যতামূলক – অন্যথায় শাস্তির বিধান রয়েছে৷ গ্রিসের বাজেট ঘাটতির বর্তমান মাত্রা প্রায় ১৩ শতাংশ৷

এই অবস্থায় গ্রিসের বিরুদ্ধে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ ব্রাসেলসে ই.ইউ. অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকের শেষে মঙ্গলবার আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ যেমন গ্রিস ইতিমধ্যেই ব্যয় সঙ্কোচের যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, সেদেশকে তার থেকেও বেশী মাত্রায় ব্যয় কমাতে হবে৷ আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে গ্রিসকে বাড়তি পদক্ষেপের ঘোষণা করতে হবে৷ সরকারী কোষাগারের আয়া বাড়াতে পণ্য ও পরিষেবার উপর প্রদত্ত কর বা ভ্যাট-এর হার বাড়ানোর জন্যও গ্রিসের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে৷ চলতি বছরের মধ্যেই বাজেট ঘাটতির বর্তমান মাত্রা কমপক্ষে ৪ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রাও স্থির করা হয়েছে৷ এই সব পদক্ষেপের মাধ্যমে ২০১২ সালের মধ্যে গ্রিসের আর্থিক অবস্থা আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ গ্রিসের অর্থমন্ত্রী গিয়র্গিয়স পাপাকনস্টানটিনু বলেন, ‘‘অনেক রকমের সম্ভাবনা রয়েছে বটে, কিন্তু তার আগে আমাদের জানতে হবে কোন পদক্ষেপের সত্যি প্রয়োজন রয়েছে৷ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এক কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা আয় বাড়ানোর ও ব্যয় সঙ্কোচের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি৷''

NO FLASH George Papaconstantantinou
গ্রিসের অর্থমন্ত্রী গিয়র্গিয়স পাপাকনস্টানটিনুছবি: AP

তবে শুধু শর্ত ও নিয়ম চাপিয়েই সন্তুষ্ট নয় ই.ইউ.৷ চলতি সপ্তাহের শেষের মধ্যেই ইউরোপীয় কমিশন, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বিশেষজ্ঞরা এথেন্সে গিয়ে যাবতীয় পদক্ষেপের উপর কড়া নজর রাখতে চলেছেন৷ তবে বৃহত্তর স্বার্থে ইউরোর বিনিময় মূল্য স্থির রাখতে এবং আর্থিক বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ইউরোপের পক্ষ থেকেও এক আপদকালীন পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷

কিন্তু গ্রিসের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে দুশ্চিন্তা দেখা দিচ্ছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপের মুখে সেদেশের সরকার সরকারী কর্মীদের বেতন কমানো এবং তামাক ও মদের উপর কর বাড়ানোর মত পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে৷ ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে সামাজিক অস্থিরতার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে৷ গ্রিসের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ইউরো এলাকায় বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে৷