গ্রিসকে সহায়তা করবে ইইউর দেশগুলো
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১০গ্রিসের পাশে প্রতিবেশীরা
মোট সাড়ে ১২ শতাংশেরও বেশি বাজেট ঘাটতির কবলে পড়ে চরম দুর্দশায় পড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ গ্রিস৷ ইইউ ইতিমধ্যে গ্রিসকে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে ঘাটতির পরিমাণ চার শতাংশ কমিয়ে আনতে৷ এই লক্ষ্য মেটাতে গ্রিসের সরকার ইতিমধ্যে ব্যয় কমিয়ে আনার ঘোষনা দিয়েছে যার পরিণতিতে এখন সর্বাত্মক ধর্মঘটে অচল গোটা দেশ৷ এই অবস্থায় গ্রিসকে উদ্ধারে এগিয়ে এসেছে তার প্রতিবেশী সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো৷ ইউরো চালু আছে অর্থাৎ ইউরোজোনের দেশগুলো ইতিমধ্যে গ্রিসের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছে৷ বুধবার স্পেনের প্রধানমন্ত্রী জোসে লুইস রড্রিগুয়েজ জাপাতেরো জানিয়ে দিয়েছেন গ্রিসের পাশে রয়েছেন তাঁরা৷
স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের গ্রিসকে সমর্থন করতে হবে, এটা স্পষ্ট৷ এবং ইউরোপ এবং ইউরো গ্রুপকেই এটা করতে হবে৷' উল্লেখ্য, ইউরোজোনের ১৬টি দেশের অর্থ মন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত ইউরোগ্রুপ৷ জাপাতেরো আরও বলেন, ‘স্পেন অবশ্যই গ্রিসকে সহায়তা করবে৷’ প্রসঙ্গত, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ডের মত স্পেনও এই মুহুর্তে খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই৷
সহায়তার আগে থাকছে জার্মানি
এদিকে, গ্রিসের অবস্থা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মেলন চায় জার্মানি এবং ফ্রান্স৷ সেখান থেকে গ্রিসের সহায়তার জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ ঘোষণা আসুক তাই চায় দেশ দুটি৷ এক ফরাসি কূটনীতিকের বরাত দিয়ে এমন তথ্যই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি৷ অর্থাৎ সহায়তা কিভাবে করা হবে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা চায় বার্লিন এবং প্যারিস, খবরের মূল বিষয় হচ্ছে সেটি৷ এদিকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে যে গ্রিসকে সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার আগে থাকছে জার্মানি৷ ম্যার্কেল সরকারের বিভিন্ন সূত্রে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে৷ ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ইইউর কাঠামোর মধ্যেই গ্রিসকে সহায়তা দেওয়া হবে এবং তাতে নেতৃত্ব দেবে জার্মানি৷ তবে এই সংক্রান্ত সম্মেলনের আগে কোন ধরণের আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন জার্মান সরকারের কর্মকর্তারা৷
ইউরোর দাম কমছে
এদিকে, ইউরোজোনের দেশ গ্রিসের সর্বাত্মক ধর্মঘট এবং আর্থিক দুর্দশার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোর বাজারে ধাক্কা লেগেছে৷ বার্তা সংস্থাগুলো জানায়, বুধবার ডলারের বিপরীতে ইউরোর দাম কমে গেছে৷ অন্যদিকে ইয়েনের বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ছে৷ বোঝা যাচ্ছে গ্রিসের বর্তমান সংকট যদি দ্রুত মেটানো সম্ভব না হয় তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে ভুগতে হবে ইউরোজোনের অন্যান্য দেশগুলোকেও৷ ইতিমধ্যে সে ইঙ্গিত দিয়ে নিউইয়র্কের আইএনজি ক্যাপিট্যাল মার্কেটের ম্যানেজার জন ম্যাককার্থি বলেছেন, ‘গ্রিস থেকে কোন ইতিবাচক খবর না আসলে ইউরো নিচের দিকে নামতে থাকবে৷’ অর্থাৎ গ্রিস এখন কেবল নিজের নয়, গোটা ইইউর জন্য দায় হয়ে পড়েছে৷
প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার