1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গোয়ায় রুশীদের বিরুদ্ধে অপ্রীতি বাড়ছে

Debarati Guha৯ মার্চ ২০১০

অভিযোগ উঠেছে যে রুশীরা নাকি সংগঠিত অপরাধবৃত্তি এবং বেআইনি জমি কেনাতে সংশ্লিষ্ট৷ এছাড়া তারা গোয়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের ‘‘চরিত্র নষ্ট করছে’’৷

https://p.dw.com/p/MNjK
গোয়ার একটি জনপ্রিয় বীচছবি: picture-alliance / KPA/Hackenberg

এককালীন পোর্তুগীজ উপনিবেশ গোয়া হল ভারতের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় বীচ রিসর্ট বা সৈকতাবাসগুলির মধ্যে অন্যতম৷ গোয়া চিরকালই ছিল বিদেশী ট্যুরিস্টদের প্রিয় অন্যান্য স্থানগুলির চেয়ে একটু আলাদা৷ ষাটের দশক থেকে হিপিদের তীর্থ, জামাকাপড় থেকে গঞ্জিকাসেবন, ইংরিজি গানা থেকে আপ রুচি খানা, সব কিছুতেই গোয়ায় যেন একটা উদারতার এবং সহনশীলতার ভাব ছিল৷ কিন্তু রুশীরা সেই গোয়া আবিষ্কার করার পর এক ধরণের নতুন বিরোধ শুরু হয়েছে৷ এবং সে বিরোধ ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডেও পর্যবসিত হতে পারে৷

Strand in Goa Indien
ইংরিজি গান, গঞ্জিকাসেবন থেকে আপ রুচি খানা - সব কিছুতেই গোয়ায় একটা উদারতার ভাব ছিলছবি: picture-alliance / Helga Lade Fotoagentur GmbH

এ কোন গোয়া?

এ'বছরের সূচনায় এক রুশ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে উত্তর গোয়ার মর্জিম গ্রামে এক ট্যাক্সিচালককে খুন করার অভিযোগ ওঠে৷ যার ফলে পরে গণবিক্ষোভেরও আয়োজন করা হয়৷ অন্য দিকে রয়েছে গত জানুয়ারিতে একটি ন'বছরের রুশী মেয়েকে এবং গত ডিসেম্বরে এক ২৫ বছর বয়সী রুশী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ৷ সেই সঙ্গে রয়েছে সাধারণভাবে গোয়ায় অপরাধ বাড়া নিয়ে উদ্বেগ৷ স্থানীয়দের আশঙ্কা যে রুশী মাফিয়া গোয়ায় কালো টাকাকে সাদা করা থেকে শুরু করে, কল গার্ল, অস্ত্রশস্ত্র, মাদক, সব কিছু নিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছে৷

‘‘লিটল রাশিয়া''

এছাড়া আরেকটি ব্যবধান হল ভাষা৷ রুশীরা ইংরিজিতে বিশেষ পোক্ত নয়৷ তারা গোয়ায় এসেই অন্য রুশীদের খোঁজে যায়, যে কারণে উত্তর গোয়ার মর্জিম এলাকাটির নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘‘লিটল রাশিয়া''৷ ক্ষুদে রাশিয়ায় আজ প্রচুর রুশীদের বাস৷ কিরিলিক হরফে লেখা প্ল্যাকার্ডও দেখতে পাওয়া যাবে৷ বীচ কি বার-এ রুশ ভাষা শোনা যাবে৷ রেস্তরাঁয় মেনু পাওয়া যাবে রুশ ভাষায়৷ তা'তে আশ্চর্য হবার কিছু নেই, কেননা বছরে ৪৫,০০০ রুশী পর্যটক এসে গোয়ায় প্রায় ৮৮ মিলিয়ন ডলার পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে যাচ্ছে৷

Strand in Goa Indien
গোয়ার বিখ্যাত কোল্ভা বীচের সেই সূর্যাস্তছবি: picture-alliance/ dpa

‘‘চরিত্র নষ্ট''

অপরদিকে সেই রুবল-এর কল্যাণেই নাকি রুশীরা সহজেই বীচের ধারে বার চালানোর লাইসেন্স পাচ্ছে৷ তারা নাকি বিদেশীদের জমি-বাড়ি কেনার উপর বাধানিষেধের কোনো ধারই ধারে না, এই সব অভিযোগ এখন শোনা যাচ্ছে গাঁয়ের প্রবীণদের কাছ থেকে৷ পর্যটন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, গোয়াকে গোটা পরিবারের জন্য গন্তব্য করার সঙ্গে রাশিয়ান মাফিয়ার উপস্থিতি মেলে না৷ এছাড়া কিছু রূশী নাকি প্রায় বিবস্ত্র হয়েই বীচে ঘোরোফেরা করে, যার ফলে স্থানীয় লোকেদের ‘‘চরিত্র নষ্ট'' এবং স্কুলের ছেলেমেয়েদের আঁতকে ওঠার অভিযোগ উঠেছে৷ বিশ্বায়ন, উন্নয়ন এবং বাণিজ্যের এই দিকটা আন্তরিক না হাস্যকর, তা কে বলবে?

প্রতিবেদক : অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা : হোসাইন আব্দুল হাই