1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গোপনীয়তা নিয়ে চিন্তিত অর্ধেক ফেসবুকার

১৮ জুলাই ২০১০

ফেসবুক কিংবা মাইস্পেস-এ প্রোফাইল নেই, এমন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এখন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর৷ তার ওপর প্রতিনিয়তই ফেসবুকের মতো সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর ব্যবহারকারী বাড়ছে৷ সঙ্গে অবশ্য বাড়ছে বিড়ম্বনা৷

https://p.dw.com/p/OOCU
তথ্য সুরক্ষার ভালো ব্যবস্থা চায় ফেসবুকাররাছবি: picture alliance/dpa

সাম্প্রতিক এক জরিপ জানাচ্ছে, অ্যামেরিকার অর্ধেক ফেসবুকার বা সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারী নাকি গোপনীয়তা নিয়ে চিন্তিত৷ গোপনীয়তা বলতে, তারা যা ফেসবুকে শেয়ার করছেন, তা কোথায় কোথায় যাচ্ছে কিংবা কে কিভাবে তার সুবিধা নিচ্ছে তাই নিয়ে চিন্তা৷ সহজ করে বললে, তথ্য সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত ফেসবুকাররা৷ বয়সের দিক থেকে ষাটোর্ধরা বড় বেশি চিন্তা করছেন তথ্য নিরাপত্তা নিয়ে৷ আর পুরুষের চেয়ে নারীর চিন্তা খানিকটা বেশি৷

সামাজিক নেটওয়ার্কে গোপনীয়তা নিয়ে এই গবেষণা চালিয়েছে মরিস্ট কলেজের জনমত ইন্সটিটিউট৷ সেখানকার পরিচালক ড. লি মিরিনহফের মতে, আমরা তথ্যের যুগে বাস করছি৷ এই যুগে অনলাইনে তথ্য প্রকাশ নিয়ে কিছু মানুষ খুবই উদ্বিগ্ন৷ অনেকে মনে করেন অনলাইনে তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে কিছু গোপনীয়তা থাকা চাই, যা আদতে দেখা যাচ্ছে না৷

সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে গোপনীয়তা একটি চলমান বিতর্কের ইস্যু৷ ফেসবুক সম্প্রতি তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে৷ ফলে, এর গ্রাহকরা এখন আরো সহজে ঠিক করতে পারছেন কোন্ তথ্যটি সবাইকে জানাবেন, আর কোনটি নিকটজনের জন্য৷ আবার কোনটি একেবারেই গোপনীয়৷

কিন্তু তারপরও রক্ষা নেই ফেসবুকের৷ শনিবার এক জার্মান মন্ত্রী গ্রাহক অধিকার নিয়ে ফেসবুককে তুলাধুনা করেছেন৷ সাপ্তাহিক পত্রিকা ফোকুসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জার্মানির ভোক্তা অধিকার বিষয়ক মন্ত্রী লিসে আইগ্নার বলেন, গ্রাহক নন, এমন মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করছে ফেসবুক৷

উদাহরণ হিসেবে আইগ্নার জানান, ফেসবুক তার গ্রাহকদের যন্ত্রে থাকা অন্য মানুষের বিভিন্ন তথ্য যেমন ফোন নম্বর ইত্যাদি সংগ্রহ ও জমা করছে৷ অথচ এই নম্বরগুলোর মালিকরা তা জানছে না৷ কিংবা তাদেরকে না জানিয়েই এসব তথ্য জমা করছে ফেসবুক৷

উল্লেখ্য জার্মানির তথ্য সুরক্ষা দপ্তর গত সপ্তাহেই ফেসবুকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে কার্যক্রম শুরু করেছে৷ অভিযোগ, গ্রাহক নয়, এমন মানুষের তথ্যে অনুপ্রবেশ করছে ফেসবুক এবং তা জমাও করছে সংস্থাটি৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম