গৃহযুদ্ধের মুখে ইয়েমেন, দক্ষিণে প্রবল সংঘর্ষ
৩১ মে ২০১১গত সপ্তাহান্তে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ইয়েমেনে কমপক্ষে ১১৫ জন নিহত হয়েছে৷ পথেঘাটে মেশিন গান, রকেট চালিত গ্রেনেড, মর্টার গোলা নিয়ে লড়াই করে চলেছে সরকার সমর্থক ও বিদ্রোহীরা৷ ইয়েমেনের সাবা সংবাদ সংস্থা মঙ্গলবার জানিয়েছে, এডেন শহরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২১ জন সৈন্য নিহত হয়েছে৷ বিমানবাহিনী শহরে বোমা ফেলেছে৷ বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ৩২০ জন নিহত হয়েছে৷ সালেহর ৩৩ বছরের শাসনকালের অবসান চায় উপজাতীয় নেতা, কট্টর ইসলামপন্থী ও বামপন্থীদের এক জোট৷
সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে পারস্য উপসাগরীয় পরিষদ যে চুক্তি প্রস্তুত করেছে, দুই পক্ষই তাতে স্বাক্ষর করা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট সালেহ নিজে নানা অজুহাত দেখিয়ে বার বার চুক্তি স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করছেন৷ প্রবল আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও তিনি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রয়েছেন৷ তিনি ক্ষমতায় না থাকলে দেশের দক্ষিণে আল-কায়েদা সন্ত্রাসবাদীদের দমন করা যাবে না বলেও সালেহ'র দাবি৷ জিনজিবার শহরে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় মানুষ আল-কায়েদা ও মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে বলেও দাবি করা হচ্ছে৷ ফলে সৌদি আরব ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা দোটানার মধ্যে রয়েছে৷ তাদের আশঙ্কা, বর্তমান অরাজকতার সুযোগ নিয়ে উগ্রবাদীরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে৷
বিরোধী নেতারা জিনজিবার শহরের পরিস্থিতির জন্য প্রেসিডেন্ট সালেহকে সরাসরি দায়ী করেছেন৷ তাদের মতে, সালেহ ইচ্ছে করেই শহরে আল-কায়েদা সন্ত্রাসবাদীদের প্রবেশের পথ সুগম করে দিচ্ছেন৷ তিনি ক্ষমতা ছাড়লে পরিস্থিতি কোনদিকে চলে যেতে পারে, সেটাই তিনি দেখিয়ে দিতে চান৷ বিরোধীদের দাবি, দায়িত্ব পেলে তারা আরও কড়া হাতে আল-কায়েদাকে দমন করতে পারবে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ