গুরুর দেহ ডিপ ফ্রিজে
১৪ মার্চ ২০১৪অলৌকিক ঘটনা কাহিনিতে পাওয়া যায়৷ কিন্তু বাস্তবেও কি তা ঘটে? একদল মানুষ তারই আশায় রয়েছেন৷ গুরু ‘দেহ রেখেছেন', মানে মারা গেছেন৷ জীবদ্দশায় ধ্যান, তপস্যার অনেক কথা বলেছেন৷ তাই শিষ্যদের ধারণা, তিনি আসলে গভীর ধ্যানে তলিয়ে গেছেন৷ একদিন আবারো জেগে উঠবেন৷ ততদিনে তাঁর পার্থিব শরীরের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, তার জন্য মরদেহ আশ্রমের ‘ডিপ ফ্রিজার'-এ রেখে দেওয়া হয়েছে৷
ভারতের চণ্ডীগড় শহরের কাছে নূরমহলে আশুতোষ মহারাজ হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন গত ২৯শে জানুয়ারি৷ বয়স হয়েছিল সত্তরের বেশি৷ তাঁর ‘দিব্যজ্যোতি জাগৃতি সংস্থান' গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে৷ ১৯৮৩ সালে মিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল৷ মিশনের মুখপাত্র স্বামী বিশলানন্দ বলেন, মহারাজজির আসলে সমাধি হয়েছে৷ ধ্যানের সবচেয়ে উচ্চ মার্গে রয়েছেন তিনি৷ ধ্যান শেষ হলেই আবার জেগে উঠবেন৷ শিষ্যরা তারই অপেক্ষায় রয়েছেন৷ সংগঠনের ওয়েবসাইটে তাঁদের প্রতি এ জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে৷ বিশলানন্দ আরও বলেন, অতীতেও অনেক সাধু-সন্নাসী হিমালয়ে গিয়ে মাসের পর মাস ধরে সমাধিতে চলে যেতেন৷
গুরুর দেহ এমন করে ফ্রিজে রেখে দেওয়ার বিষয়টি অবশ্য সব ভক্তের পছন্দ হচ্ছে না৷ এক ব্যক্তি নিজেকে তাঁর প্রাক্তন ড্রাইভার হিসেবে দাবি করে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন৷ তাঁর মতে, গুরুজির দেহ আটকে রাখার পেছনে রয়েছে আশ্রমের বিশাল সম্পত্তি৷ অনেকেই তার অংশ পেতে আগ্রহী৷ আদালত অবশ্য এই আবেদন অস্বীকার করেছে৷ রায়ে বলা হয়েছে, আশুতোষ মহারাজের সত্যি মৃত্যু হয়েছে৷ তবে তাঁর দেহ নিয়ে কী করা হবে, ভক্তরাই তার সিদ্ধান্ত নেবেন৷ আদালতের রায়ের পর স্থানীয় পুলিশও হস্তক্ষেপ করতে নারাজ৷
এসবি/ডিজি (এএফপি, এপি)