1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুটেনব্যার্গের পর ম্যার্কেল আর কোনো ঝুঁকি নিলেন না

৩ মার্চ ২০১১

পূর্বপরিচিত এবং আস্থাভাজন সহযোগী থমাস ডেমেইজিয়ারকে নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী করলেন৷ ডেমেইজিয়ারের খালি করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে আনা হল সিএসইউ দলের হান্স-পেটার ফ্রিডরিশ’কে৷

https://p.dw.com/p/10SfW
থমাস ডেমেইজিয়ার (ফাইল ফটো)ছবি: AP

ম্যার্কেল যে গুটেনব্যার্গের পদত্যাগের একদিনের মধ্যেই তার উত্তরসূরি ঘোষণা করে বসলেন৷ ম্যার্কেল যে গোড়ায় যে কোনো মূল্যে গুটেনব্যার্গকে রাখার চেষ্টা করেছিলেন, এখন যেন সেটাই শুধরে নেবার চেষ্টা করেছেন৷ থমাস ডেমেইজিয়ারের সুনাম বিরোধীদের মধ্যেও৷ তিনি অতি ঠাণ্ডা মেজাজের, নির্ভরযোগ্য মানুষ৷ প্রাক্তন পূর্ব জার্মানির মানুষ হিসেবেও ম্যার্কেল চেনেন তাঁকে৷ কাজেই এই মুহূর্তে, যখন গুটেনব্যার্গ কেলেঙ্কারির ঢেউ'য়ে গোটা জার্মান সমাজ দ্বিধাবিভক্ত, টালমাটাল, তখন ডেমেইজিয়ারকে এনে রাজনৈতিক বিচারে অতি সুচতুর কাজ করেছেন ম্যার্কেল৷

ডেমেইজিয়ার এককালে চ্যান্সেলরের দপ্তরের প্রধান ছিলেন৷ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি আফগানিস্তানে গেছেন পুলিশ প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করতে৷ কাজেই জার্মান সৈন্যরাও তাঁকে ভালোভাবেই চেনে - যার আরো একটা কারণ হল, ডেমেইজিয়ারের বাবা ছিলেন জার্মান সেনাবাহিনীর এক সাবেক চিফ অফ স্টাফ৷

কিন্তু এবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম কাজ হবে, জার্মান সেনাবাহিনীর সংস্কারের কাজটা শেষ করা, গুটেনব্যার্গ যা সবে শুরু করেছিলেন৷ তার মধ্যে সর্বাগ্রে পড়বে, জার্মানির অভ্যন্তরে, বিশেষ করে বাভারিয়ায়, জার্মান সেনাবাহিনীর একাধিক ঘাঁটি তুলে দেওয়া৷ শোনা যাচ্ছে, সেই জন্যেই নাকি বাভারিয়ার সিএসইউ দল তাদের প্রাপ্য প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদটা ছাড়তে বিশেষ আপত্তি করেনি৷ কেননা এবার ছাউনি বন্ধ করার জন্য গালমন্দ যা খাবার, তা সিডিইউ দলই খাবে৷

Deutschland Parteien CSU Hans-Peter Friedrich wird neuer Innenminister
হান্স-পেটার ফ্রিডরিশ (ফাইল ফটো)ছবি: dapd

নাকের বদলে নরুণ পাওয়ার মতো! তায় সিএসইউ সদ্য তাদের ‘স্টার'-কে হারিয়েছে৷ এখন তাদের একজন উঠতি তারকা দরকার, বিশেষ করে বার্লিনে৷ সিএসইউ দলের সংসদীয় গোষ্ঠীর প্রধান হান্স-পেটার ফ্রিডরিশের বয়স গুটেনব্যার্গের মতো চল্লিশের নীচে না হতে পারে, কিন্তু তাঁর বয়সও সবে ৫৩৷ তিনিও সিএসইউ সভাপতি হর্স্ট সেহোফারের সঙ্গে প্রয়োজনে লড়ে যেতে দ্বিধা করেন না৷ সবচেয়ে বড় কথা, তিনি একজন আইনজ্ঞ, ম্যার্কেল স্বয়ং ইতিপূর্বে ফ্রিডরিশের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছেন৷

সব মিলিয়ে ম্যার্কেল আবার দেখালেন যে, গুটেনব্যার্গ কি অন্য তারকাদের উত্থান-পতনে শুধু একজনের কিছু আসে যায় না: তিনি হলেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷

প্রতিবেদন. অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক