1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গানের শহর হানোফার

আলেক্সান্ডার দ্লুজাক/এসি২৫ নভেম্বর ২০১৫

হানোফার বলতে লোকে শিল্পমেলাই বোঝে, কিন্তু এই শহর ইউনেস্কোর ‘সিটি অফ মিউজিক’ খেতাব পেয়েছে৷ স্কর্পিয়নস গোষ্ঠী কিংবা ইউরোভিশন সং কনটেস্ট জয়ী লেনা মায়ার-লান্ডরুট এসেছেন এই হানোফার থেকে৷

https://p.dw.com/p/1HC7e
Musik Band Scorpion
হানোফারের ব্যান্ড ‘স্কর্পিয়নস' এর খ্যাতি বিশ্বজোড়াছবি: picture-alliance/dpa/T. L. Presti

জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের রাজধানী হানোফারে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষের বাস৷ সেই সঙ্গে আছে হ্যানোফারের ‘সাউন্ড', যে সাউন্ড শুনে ইউনেস্কো হানোফার-কে সিটি অফ মিউজিক-এর খেতাব দিয়েছে৷ কিন্তু এই খেতাব কি হানোফারের প্রাপ্য? সেটা বোঝা যায় ‘স্কর্পিয়নস' ব্যান্ডটিকে দেখলে – এবং শুনলে৷ হেভি মেটাল মিউজিকের এই বিশ্বখ্যাত ব্যান্ডটি দশ কোটির বেশি রেকর্ড বিক্রি করেছে৷ মিউজিক বিজনেসে স্কর্পিয়নস-কে টপ লেভেল বলা চলে!

লেনা মায়ার-লান্ডরুট-ও এই হানোফারের মেয়ে৷ ‘স্যাটেলাইট' গানটি দিয়ে লেনা ২০১০ সালের ইউরোভিশন সং কন্টেস্ট জেতেন৷ সব মিলিয়ে হানোফার যে ইউনেস্কোর ‘গানের শহর' খেতাব পেয়েছে, তাতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই৷ কিন্তু যে সব ব্যান্ড স্কর্পিয়নস বা লেনা-র মতো নাম-করা নয়? এই পোড়ো মালগুদামটায় প্র্যাকটিস করে ইন্ডি-পপ-ব্যান্ড ‘লিবার হেয়ার মায়ার'৷ ব্যান্ডটি নিয়মিতভাবে স্থানীয় বার ও ডিস্কোগুলোয় বাজিয়ে থাকে৷

DW popxport - Lena Meyer-Landrut
২০১০ সালের ইউরোভিশন সং কন্টেস্ট জয়ী লেনা হানোফারের মেয়েছবি: Universal

তবে হানোফারের সংগীতের ক্ষেত্র খুব বড় নয়৷ বহু গাইয়ে-বাজিয়ে শেষমেষ হামবুর্গ কিংবা বার্লিনে চলে যান৷ ‘প্রিয় মিস্টার মায়ার' দলটি আশা করছে, হানোফার ইউনেস্কোর খেতাব পাওয়ায় এবার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হবে৷ ‘লিবার হেয়ার মায়ার' স্ভেন মায়ার বলেন, ‘‘মানুষজন যে এখন হানোফারের নাম করছে, তারা জানেন যে এখানেও খানিক গানবাজনা হয়, জলসা ইত্যাদি হয়৷ সেটা হয়তো অনেকেই আগে থেকে আন্দাজ করতে পারেননি৷ সেদিক থেকে এখন অনেক কিছু ঘটবে, যা থেকে আমাদের সুবিধে হতে পারে – তবে প্রত্যক্ষভাবে আমরা কিছু প্রত্যাশা করছি না৷ যদি ঘটে তো ভালো৷ যদি না ঘটে, তবুও আমরা গানবাজনা চালিয়ে যাব৷''

মেয়েদের কয়্যার

পপ আর রক মিউজিক ছাড়া হানোফারে কি অন্য কোনো ধরনের মিউজিক শুনতে পাওয়া যায়? ইউনেস্কো হানোফারের গানবাজনার ঐতিহ্যের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে৷ যেমন হানোফারের প্রখ্যাত ‘মেডশেনকোয়র', অর্থাৎ মেয়েদের কয়্যার বা সমবেত সংগীত গোষ্ঠী৷ কয়্যারটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫২ সালে৷ আজ তা সারা বিশ্বে পরিচিত৷ হানোফারে প্রায় ৫০০টি কয়্যার আছে! জার্মানিতে এটা একটা রেকর্ড৷ হানোফার মেডশেনকোয়র-এর গুড্রুন শ্র্যোফেল বলেন: ‘‘এই শহরে গানবাজনার বৈচিত্র্য সত্যিই আশ্চর্য৷ কাজেই সিটি অফ মিউজিক খেতাবটা পুরোপুরি ন্যায্য এবং দেখায় যে, হানোফার অন্যান্য শহরের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে৷''

গ্রামোফোন আর গ্রামোফোন রেকর্ডের আবিষ্কর্তা এমিল বার্লিনার-এর জন্ম হানোফারে৷ জ্বালানির ইতিহাস সংগ্রহশালার উলরিকে নেফারমান বলেন: ‘‘বার্লিনার মানবজাতির একটি বহু পুরনো স্বপ্ন সার্থক করেছেন, শব্দকে ধরে রাখা৷ ব্যবহারিক বিচারে উপযোগী ও চমকপ্রদ একটি উদ্ভাবন৷''

ড্যুজেনব্যার্গ গিটার

গানবাজনার ক্ষেত্রে হানোফারের একটি সমসাময়িক অবদানও উল্লেখযোগ্য: ড্যুজেনব্যার্গ ইলেকট্রিক গিটার৷ কারখানাটি শহরের প্রান্তে, চারপাশে শুধু কলকারখানা৷ এখানেই প্রধানত শুধুমাত্র হাতের কাজ দিয়ে তৈরি হয় ড্যুজেনব্যার্গ গিটার, যা সারা বিশ্বে বিখ্যাত৷ রোলিং স্টোন্স গোষ্ঠীর গিটারিস্ট রন উড, বা স্ট্রোকস দলের নিক ভ্যালেন্সি হানোফারে তৈরি ড্যুজেনব্যার্গ গিটার বাজিয়ে থাকেন৷

Screenshot DW Sendung euromaxx Duesenberg
বিশ্ব মিউজিক জগতে হানোফারের আরেক অবদান ড্যুজেনব্যার্গ ইলেকট্রিক গিটারছবি: NDR

কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ডিটার গ্যোলসডর্ফ প্রথম ড্যুজেনব্যার্গ গিটারটি তৈরি করেন ১৯৮৬ সালে৷ আজ সেই গিটার সারা বিশ্বে খ্যাত, যার পিছনে দৃশ্যত হানোফারেরও অবদান আছে৷ গ্যোলসডর্ফ বলেন: ‘‘হানোফার আসলে বোরিং, সব রকম বৈশিষ্ট্যহীন৷ কাজেই এখানে বাঁচতে গেলে কিংবা জীবনের আনন্দ পেতে গেলে সৃজনশীল কিছু একটা করতে হবে৷ সে হিসেবে এই শহরের একটা বিশাল সৃজনী সম্ভাবনা রয়েছে৷''

স্কর্পিয়নস গোষ্ঠী হানোফারের সেই সম্ভাবনা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছেন৷ হানোফার বিশ্বের অন্যান্য ‘গানের শহরের' সঙ্গে সহযোগিতায় জলসার আয়োজন করে থাকে৷ মোটকথা, এখানে কেউ বসে থাকেনি, আজও বসে নেই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান