1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজায় ঐতিহাসিক সফরে মুসা

১৩ জুন ২০১০

ঐতিহাসিক সফরে গাজায় পৌঁছেছেন৷ আরব লিগ নেতা আমর মুসা৷ এই সফরে তিনি গাজায় ইসারায়েলি অবরোধের প্রতিবাদ করেন এবং তা তুলে নেয়ার আহ্বান জানান৷

https://p.dw.com/p/Nph3
ছবি: AP

আরব লিগ মহাসচিব হিসেবে এটাই মুসার প্রথম গাজা সফর৷ মে মাসে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ত্রাণবাহী জাহাজে ইসারায়েলি হামলায় ৯ তুরস্কের নাগরিক নিহত হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে৷ এবং তখনই গাজা সফরের সিদ্ধান্ত নেন মুসা৷ তিনি বলেন, যে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি, অবশ্যই তা ভেঙে ফেলা উচিত এবং এক্ষেত্রে আরব লীগের অবস্থান পরিষ্কার৷

মুসা বলেন, শুধু আরবরাই নয়, বরং সমগ্র বিশ্বকেই গাজায় অবরোধের প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো উচিত৷

এসময় পূর্ব জেরুসালেমে ইসরায়েলী বসতি নির্মাণের দিকে ইঙ্গিত করে আরব লিগ নেতা জানান, ইসরায়েলি অধিকৃত অঞ্চল – বিশেষ করে পূর্ব জেরুসালেমে কী হচ্ছে সেদিকেও সমগ্র বিশ্বের নজর দরকার৷

মিশরের সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেন মুসা৷ এসময় বিভিন্ন ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান৷ গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস মুসার এই সফরের ব্যাপক প্রশংসা করেছে৷ ২০০৬ সালের নির্বাচনে হামাসের জয়লাভের পর এই প্রথম আরব লীগ শীর্ষ নেতা গাজায় পা রাখলেন৷ হামাস প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়ার মুখপাত্র ইউসেফ রাজকা এই প্রসঙ্গে বলেন, গাজার উপর থেকে অবরোধ তুলে নিতে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ৷

তিনি বলেন, আরব লিগ গাজার অবরোধ তুলে নেয়ার উদ্যোগে তাদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছে৷ এখন শুধু বাস্তবায়নই বাকি৷

১০ ঘন্টার এই গাজা সফরে মুসা হামাস এবং ফাতাহ গোষ্ঠীর মধ্যকার বিরোধ মীমাংসারও চেষ্টা করেন৷ সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মীমাংসার বিষয়টি একটি প্রাথমিক এবং নীতিগত প্রশ্ন৷

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে হামাস গোষ্ঠী গাজার দখল নিয়ে নিলে ফাতাহ'র সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়৷ এই দুই গোষ্ঠীর রাজনৈতিক বিরোধ নিরসনে মিশর চেষ্টা চালায়৷ কিন্তু ২০০৯ সালের অক্টোবরে প্রস্তাবিত চুক্তিতে হামাস স্বাক্ষর না করায় মিশরের উদ্যোগ ভেস্তে যায়৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন