1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজায় অবরোধ তুলে নেওয়ার দাবি

৩ জুন ২০১০

গাজার উপর থেকে ইসরায়েলি অবরোধ তুলে নেওয়ার দাবি জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন৷ সোমবারের ঘটনার তদন্তে স্বাধীন মিশন পাঠানোর প্রস্তাব পাস হলো জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে৷ ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানালেন জিমি কার্টার৷

https://p.dw.com/p/NgB6
ইসরায়েল থেকে ফিরে দুই সন্তানকে জড়িয়ে ধরলেন এক জর্ডানীয় নাগরিকছবি: AP

বান কি-মুন বলেন, ইসরায়েল এই অবরোধের মাধ্যমে মোটেই আশানুরূপ ফল পাচ্ছে না৷ এমন অবরোধ বেশিদিন চালু রাখাও সম্ভব নয়৷ তাছাড়া এটা সম্পূর্ণ ভুল পদক্ষেপ৷ এদিকে, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও বুধবার মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বিশেষ দূত জর্জ মিচেলের সাথে আলোচনায় গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান৷

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌবহরে ইসরায়েলের হামলাকে আন্তর্জাতিক বিধি লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে৷ ঐ হামলার তদন্তে স্বাধীন মিশন গঠনের ব্যাপারেও ঐকমত্য হয় পরিষদের বুধবারের সভায়৷ ইসলামি সম্মেলন সংস্থার পক্ষে পাকিস্তান এবং আরব গোষ্ঠীর পক্ষে সুদান নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করে৷ ৪৭ সদস্যের পরিষদে ৩২ ভোটে অনুমোদিত হয় ইসরায়েলের ঐ হামলা বিরোধী নিন্দা প্রস্তাব৷

NO FLASH Israel Palästina Palästinenser Aktivisten Gaza Bus Gefängnis
তেলআভিভের কাছে বিমান বন্দরে পৌছলে বিজয় চিহ্ন দেখান ফিলিস্তিনপন্থী বিদেশি কর্মীরাছবি: AP

সোমবারের ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার৷ বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি আমেরিকার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে গাজায় অবরোধের অবসান এবং ফিলিস্তিনিদের পুনরেকত্রীকরণে সহায়তা করার আহ্বান জানান৷ কার্টার বলেন, ‘‘গাজার উপর অবরোধ আরোপ যে অসামরিক মানুষদের প্রতিই আঘাত, ইসরায়েলের এই হামলা সে কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়৷'' বিবৃতিতে বলা হয় যে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সোমবারের ঐ হামলার দ্রুত ও স্বাধীন তদন্তের যে ডাক দিয়েছে তা সমর্থন করে কার্টার সেন্টার৷ উল্লেখ্য, আমেরিকার রাষ্ট্রপ্রধান থাকাকালে ১৯৭৯ সালে তাঁরই মধ্যস্থতায় ইসরায়েল এবং মিশরের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি৷

Israel Palästina Palästinenser Aktivisten Linke Deutschland Flash-Galerie
প্রেস ব্রিফিংয়ে ত্রাণবাহী নৌবহরে ইসরায়েলি হামলার সম্পর্কে বলছেন জার্মান সাংসদ আনেটে গ্রোথছবি: AP

এদিকে, ত্রাণবাহী নৌবহর থেকে আটককৃত ৬৩২ জন বিদেশি নাগরিককে মুক্তি দিলেও চার আরব-ইসরায়েল নেতাকে এখনও বন্দি করে রেখেছে ইসরায়েল৷ নৌবহরের অন্যতম আয়োজক ‘স্বাধীন গাজা আন্দোলন' এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, ইসরায়েলের দক্ষিণ উপকূলবর্তী শহর আশকেলনের একটি আদালত চার আরব-ইসরায়েলি নেতার আটকাদেশ আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে৷ ঐ চার নেতা তুরস্কের জাহাজ ‘মাভি মারমারা'তে ছিলেন৷ বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ‘‘ঐ নৌবহরে অংশগ্রহণকারী চার নেতার প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে৷ ইসরায়েলি নাগরিক হিসেবে নয় – বরং ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি আরব-নাগরিক হিসেবেই তাঁদেরকে এখনও আটক রাখা হয়েছে৷''

অন্যদিকে, ইসরায়েলি সংসদে বুধবার আরব-ইসরায়েলি সাংসদ হানিন জোয়াবি ত্রাণবাহী নৌবহরে ইসরায়েলের হামলাকে ‘দস্যুতার মতো অপরাধমূলক কাজ' বলে মন্তব্য করেন৷ ১২০ সদস্যের সংসদে যে ডজন খানেক আরব সাংসদ রয়েছেন, ৪১ বছর বয়সি জোয়াবি তাঁদের একজন৷ ত্রাণবাহী নৌবহরেও অংশ নিয়েছিলেন জোয়াবি৷ তবে সংসদে তাঁর এমন মন্তব্যের পর কট্টর বামপন্থী সাংসদদের তোপের মুখে পড়েন তিনি৷ তাঁর দিকে ছুটে যান ইসরায়েল বেইতেনু পার্টির সাংসদ আনাস্তাসিয়া মিশায়েলি৷ এসময় নিরাপত্তা রক্ষীরা তাঁকে নিবৃত্ত করেন৷ এছাড়া বুধবার আবারও নিজেদের হামলার পক্ষে অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন