1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজার অবরোধ কিছুটা শিথিল হচ্ছে, সমালোচনা হামাসের

২১ জুন ২০১০

গাজার উপর অবরোধ কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায়৷ আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন মহলের সাধুবাদ৷ এদিকে, জার্মান মন্ত্রীকে গাজা যেতে না দেওয়ায় ইসরায়েলের সমালোচনা করল জার্মানি৷

https://p.dw.com/p/NyA9
ইসরায়েলের গাজা সীমান্তে দাঁড়িয়ে এক ফিলিস্তিনি বালক (ফাইল ছবি)ছবি: AP

এতদিন পর্যন্ত গাজায় প্রায় সব ধরণের পণ্য প্রবেশ নিষিদ্ধ রেখেছিল ইসরায়েল৷ মূলত হামাস শাসিত বলেই ঐ অঞ্চলের উপর তিন বছর ধরে এমন অবরোধ ইসরায়েলের৷ লক্ষ্য ছিল গাজার প্রায় ১৫ লাখ মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী না পেয়ে হামাসের প্রতি তাদের সমর্থন পাল্টাবে৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত তা খুব একটা কাজে আসেনি৷ বরং হামাস বহাল তবিয়তেই ক্ষমতায় রয়েছে সেখানে৷ অন্যদিকে, সম্প্রতি গাজার মানুষের জন্য ত্রাণবাহী জাহাজে ইসরায়েলের হামলা পরিস্থিতির মোড় আরো খানিকটা ঘুরিয়ে দেয়৷ ঐ হামলায় নিহত হন নয় জন ত্রাণকর্মী৷ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলের উপর চাপ বাড়াতে থাকে অবরোধ শিথিল করার জন্য৷

এই অবস্থায় রবিবার ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় ভোটাভুটির পর সিদ্ধান্ত হয় অবরোধ কিছুটা শিথিল করার৷ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন অস্ত্র-শস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জামসহ কিছু নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকা তৈরি করছে ইসরায়েল৷ ফলে ঐ তালিকার বাইরের সকল পণ্যই পৌঁছতে পারবে গাজায়৷ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, অস্ত্র-শস্ত্র এবং হামাস তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে এমন সামগ্রী ছাড়া সবকিছুই গাজায় ঢুকতে দেওয়া হবে৷ তবে তাঁর দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্মাণ সামগ্রীও গাজায় ঢুকতে দেওয়া হবে না৷ কারণ সেগুলো ব্যবহার করে হামাস তাদের সামরিক শক্তি বাড়াতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে৷

ইসরায়েলের এমন সিদ্ধান্তকে নাকচ করে দিয়েছে হামাস৷ দলটির মুখপাত্র ইসমাইল রাদওয়ান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে টেলিফোনে বলেন, ‘‘হামাস এই সিদ্ধান্ত চায় না৷ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে শান্ত করার জন্য ইসরায়েলের এটি একটি কৌশল৷'' বরং গাজার উপর থেকে সম্পূর্ণ অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি৷ এদিকে, জাতিসংঘও এই অবরোধকে অবৈধ আখ্যা দিয়েছে৷ এছাড়া অবরোধ পুরোপুরি তুলে নেওয়ার দাবি জাতিসংঘেরও৷

তবে ইসরায়েলের রবিবারের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা এবং ব্রিটেন৷ ইইউ পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন বলেন, ‘‘ইসরায়েল সরকারের এই ঘোষণা উৎসাহব্যঞ্জক৷ এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ এবং এটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির ইঙ্গিত করে৷'' হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস বলেন, আরো কিছু করতে হবে এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাথে এই নীতি এবং অন্যান্য পদক্ষেপ নিয়ে ৬ জুলাইয়ের বৈঠকে আলোচনা করবেন প্রেসিডেন্ট ওবামা৷ এদিকে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেন, ‘গাজায় অবরোধ শিথিল করার ইসরায়েলি ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছি৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়