কলকাতা
৪ ডিসেম্বর ২০১৭বিজ্ঞাপন
জালালুদ্দিন গাজি এই মহান উদ্যোগ নিয়েছেন একটাই কারণে৷ তিনি নিজে পড়াশোনা শিখতে পারেননি৷ ছোটবেলায় স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন৷ ক্লাস টু থেকে থ্রি-তে ওঠার সময় ফার্স্ট হয়েছিলেন৷ কিন্তু গরিব বাবা আর বই কিনে দিতে পারেননি৷ পড়াশোনা সেখানেই বন্ধ হয়ে যায়৷ এরপর বাবাও মারা যান অকালে, সংসার ভেসে যায়৷ কলকাতার ফুটপাথে থাকতেন, ভিক্ষে করে খেতেন৷ এভাবেই দিন যেত৷
একটু বড় হতে গাড়ি চালানো শিখে ট্যাক্সি চালাতে শুরু করেন৷ কিন্তু সর্বক্ষণ মনে হতো, তাঁর মতো আরও অনেক গরিব ঘরের ছেলে অর্থের অভাবে পড়াশোনা শিখতে পারে না৷ তাই একদিন চালু করে দেন অবৈতনিক স্কুল, যার খরচ চালানোর জন্যই নিজের ট্যাক্সির গায়ে লিখেছেন ঐ সাহায্যের আবেদন৷