খুঁজে পাওয়া কিছু অদ্ভুত প্রাণী
অনেক প্রাণী এবং উদ্ভিদই বিলুপ্ত হয়েছে কিংবা হওয়ার অপেক্ষায় আছে৷ পাশাপাশি খুশির খবর, নতুন কিছু গাছ ও প্রাণীর সন্ধানও পাওয়া যাচ্ছে৷ ছবিঘরে দেখুন বিজ্ঞানীদের খুঁজে পাওয়া সেরকম কয়েকটি উদ্ভিদ ও প্রাণীর ছবি৷
যে মাকড়সা চাকার মতো ঘোরে
নিউ ইয়র্কের সিরাকিউজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা কয়েকশ বিচিত্র উদ্ভিদ ও প্রাণী থেকে দশটিকে সেরা হিসেবে বেছে নিয়েছেন৷ সেরা দশে এ ধরণের মাকড়সাও আছে৷ এই মাকড়সা দেখতে সাধারণ হলেও স্বভাবে অদ্ভুত৷ কেউ তাদের আক্রমণ করতে পারে বুঝলেই এরা গাড়ির চাকার মতো দ্রুত ঘুরতে শুরু করে৷
যে ব্যাঙ ডিম পাড়ে না
ব্যাঙ ডিম পাড়ে৷ অর্থাৎ তারা স্তন্যপায়ী৷ কিন্তু এমন ব্যাঙ-ও খুঁজে পাওয়া গেছে যারা সরাসরি বাচ্চা দেয়৷ ছবির এই ব্যাঙদুটোর মধ্যে ডান দিকেরটি স্ত্রী ব্যাঙ আর এই স্ত্রী ব্যাঙ সরাসরি বাচ্চা প্রসব করে, পৃথিবীর অন্য ব্যাঙদের মতো কখনো ডিম পাড়ে না৷ এ কারণেই অদ্ভুত প্রাণীদের তালিকায় স্থান পেয়েছে এই ব্যাঙ৷
কাঠি নয়, পোকা
কিছুদিন আগেও এই পোকাগুলোকে কেউ পাত্তা দেয়নি৷ গাছপালার সঙ্গে এরা এমনভাবে মিশে যেত যে, দেখে মনে হতো একটা কাঠি পড়ে আছে৷ ২৫ সেন্টিমিটারের মতো দীর্ঘ, বাদামী রংয়ের এই পোকাগুলোর এখন খুব কদর৷ প্রথম দর্শনে কাঠি মনে হয় এমন এই পোকাগুলোর সম্পর্কে আরো জানতে গবেষণা শুরু করেছেন ভিয়েতনামের টাম-দাও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা৷
রঙীন শামুক
জাপানের সমুদ্রে খুঁজে পাওয়া গেছে খুব সুন্দর এক ধরণের শামুক৷ ১৭ থেকে ১৮ মিলিমিটারের মতো বড় এই শামুকের গায়ে থাকে লাল, নীল, সাদা এবং সোনালী রংয়ের ছোপ৷ অনেকে বলছেন, এগুলোই নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর শামুক৷
বুদ্ধিমান পিঁপড়া
এই পিঁপড়াগুলো ডিম পাড়ার সময় হলে অদ্ভুত একটা কাজ করে৷ ডিম পাড়ার জায়গাটা শুরুতে খড়কুটো দিয়ে ঘিরে ফেলে৷ তারপর সেখানে একটা মৃত মাকড়সা এনে রাখে৷ লার্ভা বা শূককীটের খাবার হিসেবে রাখা হয় এই মাকড়সা৷ আর ডিম পাড়ার জায়গার পাশেই ছোট একটা ঘরের মতো করে, সেখানে মৃত পিঁপড়া এনে এনে জড়ো করা হয়৷ অনাহূত কোনো অতিথি এসে যাতে অনিষ্ট করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতেই নাকি মৃত পিঁপড়া জমিয়ে রাখা হয়৷