সংসদে খালেদার প্রস্তাব
২৪ অক্টোবর ২০১৩এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চলতি সংসদেই প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা ও সংবিধান সংশোধন করে তা কার্যকরের আহ্বান জানান৷
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন বিধি অনুযায়ী প্রস্তাবটি সংসদে পেশ করা হলে তা নিয়ে আলোচনায় তাঁদের আপত্তি নেই৷
সংসদের চলতি অধিবেশন শুরু হয় ১২ই সেপ্টেম্বর৷ বিএনপির সাংসদরা শুরুতে অধিবেশনে যোগ না দিলেও বুধবার তাঁরা সংসদে যান৷ তবে উপস্থিত ছিলেন না বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া৷ সংসদে যোগ দিয়ে সাবেক স্পিকার এবং বিএনপির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে নির্বাচনকালীন সময়ে খালেদা জিয়ার নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের প্রস্তাব তুলে ধরেন৷ খালেদা জিয়া গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০ জন উপদেষ্টার মধ্য থেকে ১০ জনকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব করেন৷ এর আগে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন৷
ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার খালেদা জিয়ার প্রস্তাব নিয়ে সংসদে আলোচনা এবং প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করে সংসদে তা পাসের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর কাছে৷ এসময় প্রধানমন্ত্রী সংসদে উপস্থিত ছিলেন৷
এরপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, এর আগে বিএনপি সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল৷ আর সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় সরকারি দল রাজি হলে বিএনপি তা প্রত্যাহার করে নেয়৷ এবার পয়েন্ট অব অর্ডারে প্রস্তাব আনা হয়েছে৷ তাই বিরোধী দল যদি বিধি অনুযায়ী প্রস্তাব আনে তাহলে আলোচনায় আপত্তি নেই৷ তবে তোফায়েল আহমেদ বলেন ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভোটে কারচুপি করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল এই অভিযোগ তখন স্বয়ং খালেদা জিয়া করেন৷ তাহলে এখন তারা কিভাবে নিরপেক্ষ হবে৷ আর দুই তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে এখন আর ১০ জনকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা৷
এর জবাবে বিএনপির এমপি এম কে আনোয়ার বলেন, মূল বিষয় হলো নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান কে হবেন তা নির্ধারণ করা৷ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একজনকে যদি ঠিক করা যায় তাহলে বাকি ১০ জন ঠিক করা কোনো কঠিন কাজ হবেনা৷ তিনি বলেন এজন্য আলোচনা হতে হবে সংসদের বাইরে৷ সংসদের বাইরে যদি ঐক্যমত হয় তাহলে সংসদে সবাই হাততালি দিয়ে তা পাস করবেন৷
এরপর সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম-এর বক্তব্য চলাকালে সংসদ থেকে ওয়াক আউট করেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা৷
সংসদের অধিবেশন ২৪শে অক্টোবর পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ৭ই নভেম্বর পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ বলা হচ্ছে, একটি সমঝোতার আশায় সংসদের এই শেষ অধিবেশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে৷