ক্ষতিপূরণ নিয়ে ভোপাল দুর্গতদের ক্ষোভ
২৪ জুন ২০১০গ্যাস দুর্গতদের জীবিত পরিবারগুলির সাতটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা ন্যায়বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন৷ তাঁরা বাস্তব ছবিটা তুলে ধরে দেখাবেন মন্ত্রিগোষ্ঠীর রিপোর্টে যেসব সুপারিশ করা হয়েছে, তা ভুল তথ্যের ভিত্তিতে৷ ভোপাল গ্যাস পীড়িত মহিলা উদ্যোগ সংস্থার কর্তাব্যক্তি আবদুল জব্বর ডয়চে ভেলেকে বলেন, ভোপাল আদালতে গ্যাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১৫২৭৪ নথিভুক্ত আছে৷ সরকার মাত্র ৫২৭৪ জন মৃত ধরে নিয়ে তাঁদের জন্য ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবার কথা বলেছে৷ তাও আবার আগেকার দেওয়া টাকা কেটে৷ বাকিদের রাখা হয় আহতদের তালিকায়৷ আদালতে নথিভুক্ত সংখ্যা থেকে ১০ হাজার মৃত বাদ৷
দ্বিতীয়ত, ১৯৯৭-এর পর গ্যাসজনিত রোগে যাঁদের মৃত্যু হয় তাঁদের হিসেবের মধ্যে ধরা হয়নি৷ জব্বার জানান, আমাদের হিসেব বলছে, মৃতের সংখ্যা হবে ৩৫ হাজারের বেশি৷ ১৯৯৪ থেকে ২০০০সালের মধ্যে যাঁদেরকে চিরজীবনের মত প্রতিবন্ধী বলে ধরা হয়, সরকারি হিসেবে তাঁদের সংখ্যা মাত্র ৪২ হাজার৷ অথচ তারপর থেকে এপর্যন্ত বিষাক্ত গ্যাস নিঃশ্বাসের সঙ্গে দেহে বাসা বেঁধে পরবর্তীকালে যাঁরা সারা জীবনের মত পঙ্গু বা অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাদের ধরা হয়নি৷ সাড়ে আট বর্গ কিলোমিটার এলাকায় বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে৷ তাতে সাড়ে পাঁচ লাখ লোক পীড়িত হয়ে পড়েছিল৷
তিনি দাবি করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রি পি. চিদাম্বরমের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিগোষ্ঠী গ্যাস দুর্গতদের জীবিত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এবিষয়ে একবারও কথা বলার প্রয়োজন বোধ করেননি৷ তাই এই রিপোর্ট মানুষের চোখে ধুলো দেয়া ছাড়া আর কিছু নয়৷ সংগঠনগুলির মতে, সরকার বহুজাতিক ডো কেমিক্যালস আর ইউনিয়ন কার্বাইডকে খুশি রাখতে বেশি তত্পর, গ্যাস দুর্গতদের নয়৷ না হলে দুর্ঘটনাস্থল থেকে বিষাক্ত বর্জ্য অপসারণের দায় ডো কেমিক্যালসের ওপর না দিয়ে সরকার করদাতাদের টাকায় সেই কাজ করতে যাচ্ছে কেন৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক