1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে পিছিয়ে ইডেন, ওয়াংখেড়ে

১৫ জানুয়ারি ২০১১

দক্ষিণ এশিয়ায় আসন্ন ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে যে কিছু গলদ রয়ে গেছে সেকথা স্বীকার করে নিলেন আইসিসি প্রধান লোরগাট৷ তবে কমনওয়েলথ গেমসের মত ততটা কেলেঙ্কারি হয়তো হবে না বলেই তাঁর আশ্বাস৷

https://p.dw.com/p/zy01
ক্রিকেট বিশ্বকাপ, আইসিসি, ইডেন গার্ডেনস, মুম্বই, স্টেডিয়াম, গলদ, প্রস্তুতি
কলকাতার ইডেন গার্ডেনস পরিদর্শন করছেন আইসিসি-র পরিদর্শক দলছবি: Prabhakar Mani Tiwari

কোথায় রয়েছে গলদ

গলদ রয়ে গেছে মূলত স্টেডিয়ামের প্রস্তুতিতে৷ আর সেই গত বছরের কমনওয়েলথ গেমসের মতই এবারেও গলদের মূল শিকড় সেই ভারতেই৷ আইসিসি প্রধান হারুন লোগার্ট শনিবার মেলবোর্নে এ বিষয়ে এক স্বীকারোক্তি করেছেন৷ বলেছেন, এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে আসন্ন বিশ্বকাপের যে দুটি স্টেডিয়ামের প্রস্তুতিতে গন্ডগোল আছে তারা হল ভারতের মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম আর কলকাতার ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়াম৷

সেই ভারতকে নিয়েই সমস্যা

এ পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে ভারতের এই দুটি স্টেডিয়ামের বিশ্বমানে উত্তরণ নিয়েই চিন্তিত আইসিসি৷ অন্তত লোগার্টের বিবৃতি তাই বলছে৷ তবে তিনি আশাবাদী যে বিশ্বকাপ শুরুর আগে ইডেন আর ওয়াংখেড়ে তাদের কাজ শেষ করে ফেলবে৷ লোগার্ট জানিয়েছেন, দিল্লীর স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে একটা সমস্যা গত বছর পর্যন্ত ছিল, সেটা নাকি এখন ঠিকঠাক৷ তবে কমনওয়েলথ শুরুর আগে যেরকম অপ্রস্তুত অবস্থা ছিল ভারতের, ততটা নাকি এই দুটি স্টেডিয়ামকে নিয়ে নাও হতে পারে বলে মনে করছেন লোগার্ট৷

বাংলাদেশ আর শ্রীলংকার দারুণ প্রতিশ্রুতি

শ্রীলঙ্কা দুটি নতুন স্টেডিয়াম তৈরির কাজে ব্যস্ত৷ তাদের একটি তৈরি হচ্ছে ক্যান্ডিতে আর অন্যটি হামবানটোলায়৷ কলম্বোর খবর, নির্দ্ধারিত সময়েই তারা শেষ করে ফেলবে এই দুই স্টেডিয়ামকে বিশ্বমানে নিয়ে যাওয়ার কাজ৷ আর বাংলাদেশ তো এমাসের গোড়াতেই জানিয়েছিল, বিশ্বমানের সুযোগসুবিধা সম্পন্ন স্টেডিয়াম তৈরি করে ঢাকা চমকে দেবে ক্রিকেট বিশ্বকে৷ বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র জালাল ইউনুস জানুয়ারির গোড়ায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, নির্মীয়মান স্টেডিয়ামে ধারাবাহিক বিদ্যুৎ সরবরাহ, কার্যকরী ফ্লাডলাইট এবং আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট পিচ তৈরি করা হবে৷ যাতে বিশ্বকাপের মত বড়মাপের খেলার কোথাও কোনরকম অসুবিধা না হয়৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই