কোলনে ভারতীয়, কৃষ্ণাঙ্গ এবং অ্যামেরিকানদের ভিড়
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০যখনই কোন বিদেশি জার্মানিতে আসেন নিঃসন্দেহে বলা যায় তিনি তাঁর দেশ থেকে সংস্কৃতি, ঐতিহ্যও সঙ্গে নিয়ে আসেন৷ কোলন শহর তার জলজ্যান্ত প্রমাণ৷ এই শহরটিতে বসবাস করছে অসংখ্য বিদেশি৷ অনেকেই খুলে বসেছেন নিজস্ব দোকান বা রেস্ট্যুরেন্ট৷ দক্ষিণ আ্যামেরিকা থেকে শুরু করে আফ্রিকা, ভারত, মধ্য প্রাচ্য কোন অঞ্চলই বাদ পড়েনি৷
কিউবা
শুরুতেই কিউবা৷ কিউবাকে পরিচিত করতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে সিগারের একটি দোকান৷ নাম ‘লা গালানা'৷ কিউবার ঘরবাড়ি দেখতে যেমন দোকানটিও ঠিক সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে৷ সবাই বলছে, এ যেন কোলনে এক টুকরো কিউবা৷
ভারত
নয় মার্কট এলাকাটি ভারতীদের দখলে৷ দোকান থেকে ভেসে আসছে হিন্দি গান৷ বোঝা যাচ্ছে আমজাদ আলী খানের অনেক ভক্ত রয়েছে এই এলাকায়৷ দোকান থেকে ভেসে আসছে আগরবাতির গন্ধ৷ আর এখানেই রয়েছে কোলনের সবচেয়ে বড় ভারতীয় রেস্ট্যুরেন্ট ‘কড়াই'৷ আরো রয়েছে, যোগব্যায়ামের একটি কেন্দ্র৷ চার বছর আগে রাজু কারামবান কেন্দ্রটি খোলেন৷ তিনি জানান, ‘‘আমি সবাইকে বলতে চাই, নিজের স্বাস্থ্যের জন্য কিছু করুন৷ নিজের যত্ন নিন৷ সুস্থ, সুন্দর থাকুক৷ এটাই মূল উদ্দেশ্য৷ তাই মেডিটেশনও করা হয় এখানে৷''
ইরিত্রিয়া
জার্মান-ইরিত্রিয় বংশোদ্ভূত লেখক-গায়ক সামি ওমার৷ বড় হয়েছেন জার্মানির দক্ষিণে উল্ম শহরে৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত আস্তানা গড়েছেন কোলনে৷ তিনি পড়ে শোনালেন তাঁর নিজের লেখা, ‘‘আমি বেলুন নই৷ বেলুনের মত টাই এবং স্কার্টেও অনেক রঙ দেখা যায়৷ যাদের গায়ের রঙ বাদামি বা খয়েরি তারাও কি রঙীন ? আমরা সবাই রঙীন, আমাদের সবার মধ্যেই রঙ আছে৷ আমি কিন্তু কোন বেলুন নই৷''
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ