1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তদন্তের উপর হস্তক্ষেপ?

১৭ মে ২০১৭

কেঁচো খুঁড়তে সাপ যাতে বেরিয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে নিজের এক সহযোগীর বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প – এবার তাঁর বিরুদ্ধে এমন মারাত্মক অভিযোগ উঠলো৷

https://p.dw.com/p/2d52v
ট্রাম্প ও কোমি
ছবি: Reuters/J. Lo Scalzo/G. Cameron

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর প্রধান হিসেবে জেমস কোমিকে বরখাস্ত করেছেন ট্রাম্প৷ নিউ ইয়র্ক টাইমস সংবাদপত্রের সূত্র অনুযায়ী কোমি ট্রাম্পের সঙ্গে প্রতিটি সাক্ষাতেরপর কথোপকথন লিখে রাখতেন৷ এবার তারই অংশবিশেষ ফাঁস হয়ে গেছে৷ সেই ‘মেমো' অনুযায়ী ট্রাম্প নাকি সরাসরি কোমিকে বলেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে গোপন যোগাযোগের অভিযোগে প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ ১৪ই ফেব্রুয়ারি ফ্লিন বরখাস্ত হবার পরের দিন ট্রাম্প নাকি কোমিকে বলেছিলেন, ‘‘আই হোপ ইউ ক্যান লেট দিস গো৷'' শুধু তাই নয়, সংবাদ মাধ্যম রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর টিমের সদস্যদের যোগাযোগ সম্পর্কে এত গোপন সরকারি তথ্য ফাঁস করে দেওয়ায় ট্রাম্প উলটে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবার জন্য কোমি'র উপর চাপ সৃষ্টি করেন৷

বলা বাহুল্য, হোয়াইট হাউস দ্রুত এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ কোমি ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে এমন কোনো কথা হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে৷ উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূতের সামনে অতি গোপন তথ্য তুলে ধরার কারণে ট্রাম্প প্রবল চাপের মুখে পড়েছিলেন৷ একের পর পর এক অভিযোগের মুখে হোয়াইট হাউস প্রবল চাপের মুখে রয়েছে৷

কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফেডারেল স্তরে তদন্তের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করছেন, তা-ও নিজের টিমের সদস্যদের রক্ষা করতে – এমন মারাত্মক অভিযোগের ফলে নড়েচড়ে বসেছে মার্কিন কংগ্রেস৷ বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের সদস্যরা সংসদীয় তদন্তের দাবি করছেন৷ দুই দলের সদস্যরা সেই মেমো স্বচক্ষে দেখতে চাইছেন৷

হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভের এক কমিটি এফবিআই-এর কার্যনির্বাহী প্রধান অ্যান্ড্রু ম্যাককেবের কাছে আগামী ২৪শে মে'র মধ্যে কোমি ও প্রেসিডেন্টের মধ্যে যোগাযোগের সব নথিপত্র পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে৷ এ বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করতে চান সংসদ সদস্যরা৷

বিতর্কে জেরবার ট্রাম্প আপাতত সব কিছু পেছনে ফেলে ৯ দিনের মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ সফরের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন৷ বিদেশের মাটিতে তিনি যাতে বেফাঁস মন্তব্য না করেন, তা নিশ্চিত করতে রিপাবলিকান দল ও মার্কিন প্রশাসনের সদস্যরা তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করছেন৷ বিশেষ করে তাঁর বিরুদ্ধে রাশিয়ার কাছে যে তথ্য ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে, তার সূত্র ইসরায়েল বলে কিছু মহলে দাবি করা হচ্ছে৷ আসন্ন ইসরায়েল সফরে বিষয়টি উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি)