1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোবানিতে আইসিস পিছু হটছে, বলছে কুর্দ তরফ

১৬ অক্টোবর ২০১৪

এর মূল কারণ, সোমবার যাবৎ মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোট কোবানিতে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইসিস-এর উপর বিমান হানার সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়িয়েছে৷ দৃশ্যত তার ‘কোঅর্ডিনেটস' সরবরাহ করছে কোবানির কুর্দ যোদ্ধারা৷

https://p.dw.com/p/1DWOs
Kämpfe um Kobane 15.10.2014
ছবি: Reuters/Kai Pfaffenbach

কোবানি থেকে ওয়াইপিজি কুর্দ সশস্ত্র গোষ্ঠীর এক কর্মকর্তা এএফপি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন যে, ইতিপূর্বে কোবানির ৩০ শতাংশ আইসিস-এর নিয়ন্ত্রণে ছিল; এখন তা ২০ শতাংশের কম হয়ে দাঁড়িয়েছে – বিশেষ করে আন্তর্জাতিক জোটের বিমান হানার ফলে৷ দৃশ্যত কুর্দ যোদ্ধারা এখন কোবানির পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন অংশ থেকে আইসিস যোদ্ধাদের ‘‘ফ্লাশ আউট'', অর্থাৎ বাড়ি বাড়ি থেকে বহিষ্কার করছে৷ ওয়াইপিজি কর্মকর্তাটি যুগপৎ বলেছেন যে, ‘‘আমাদের আরো বেশি বিমান হানার প্রয়োজন, সেই সঙ্গে স্থলযুদ্ধের জন্য অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ৷''

৪৮ ঘণ্টায় ৪০ বার

গত সোমবার যাবৎ মার্কিন বিমান কোবানিতে বিভিন্ন আইসিস লক্ষ্যের উপর ৪৮ ঘণ্টায় প্রায় ৪০টি অভিযান চালিয়েছে: প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ২১টি এবং দ্বিতীয় ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৮টি৷ এর নানা কারণ আছে৷ পেন্টাগনের মুখপাত্র অ্যাডমিরাল জন কার্বি জানিয়েছেন যে, কোবানি এখন বস্তুত দু 'পক্ষের যোদ্ধাদের হাতে: কোবানির বাসিন্দাদের ‘‘একটা বড় অংশ'' শহর ছেড়ে পালিয়েছে; শহরে এখন মাত্র ‘‘কয়েক'শ'' মানুষ পড়ে আছে, বলে মার্কিন তরফের ধারণা৷

Kämpfe um Kobane 16.10.2014
আইএস-এর ওপর চলছে বিমান হামলাছবি: Reuters/Kai Pfaffenbach

কোবানি ও তার চারপাশে বিমান হানা বাড়ানো হলো কেন, এ ব্যাপারে কার্বি বলেছেন যে, সেটা সুযোগ দেখা দিয়েছে বলে; কোনো রণকৌশলের অঙ্গ হিসেবে নয়৷ ইরাকে প্রতিরোধ বেড়েছে বলেই সম্ভবত আইসিস অধিনায়করা কোবানির উপর চাপ বাড়িয়েছেন – যার ফলে মার্কিন বিমানবাহিনী কোবানির আশেপাশে আরো বেশি লক্ষ্য খুঁজে পাচ্ছে, বলেছেন অ্যাডমিরাল কার্বি৷ তিনি আরো জানিয়েছেন যে, কোবানির চারপাশে মার্কিন বিমান হানায় সম্ভবত ‘‘বেশ কয়েক'শ'' আইসিস যোদ্ধা নিহত হয়েছে৷

কোবানিতে বিমান হানা বাড়ার আরেকটি কারণ হলো, ইরাকের আইসিস-অধিকৃত এলাকাগুলিতে আবহাওয়া খারাপ থাকার ফলে মার্কিন অধিনায়করা আরো বেশি বিমান ও বৈমানিক কোবানির দিকে প্রেরণ করার সুযোগ পেয়েছেন৷ তবুও কোবানিতে একটি ‘‘তরল পরিস্থিতি'' বিরাজ করছে, বলে কার্বি মন্তব্য করেন: ‘‘লোকের এটা জানা দরকার যে, কোবানির এখনও পতন ঘটতে পারে'' – অর্থাৎ আইসিস কোবানি জয় করতে পারে৷

অপারেশন ইনহেয়ারেন্ট রিজল্ভ

কোবানির কুর্দ যোদ্ধাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, ওয়াইপিজি-র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক জোটকে আইসিস টার্গেটগুলির অবস্থান জানাচ্ছেন – যদিও কিভাবে, তা কুর্দ অথবা মার্কিন, কোনো তরফ থেকেই জানানো হয়নি৷ অপরদিকে আন্তর্জাতিক জোট দৃশ্যত কোবানির কাছে, তুর্কি সীমান্তের অপরপার থেকে পর্যবেক্ষকদের পাঠানো খবরাখবর, এছাড়া চালকবিহীন ড্রোন থেকে তোলা ভিডিও ছবির উপরেও নির্ভর করছে৷

মার্কিন মিলিটারি এবার ইরাক ও সিরিয়ায় জিহাদীদের বিরুদ্ধে গত দু'মাস ধরে চলমান অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন ইনহেরেন্ট রিজল্ভ' – অর্থাৎ অন্তর্নিহিত দৃঢ়তা৷ ওদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও ইটালির সরকারপ্রধানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বলেছেন যে, অভিযানের সামরিক দিকটা হলো শুধু একটা অঙ্গ; সেই সঙ্গে আইসিস-এর অর্থ ও সদস্য সংগ্রহের প্রচেষ্টা রোধ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন৷

কূটনৈতিক রণাঙ্গণের অপরাপর খবরের মধ্যে বলা যেতে পারে যে, সিরিয়া তুর্কি সীমান্তে একটি ‘বাফার জোন' সৃষ্টি করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে৷ এছাড়া জার্মানি থেকে একটি ছোট্ট অথচ গুরুত্বপূর্ণ খবর হলো এই যে, চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী সিডিইউ দলের সংসদীয় গোষ্ঠীর প্রধান ফল্কার কাউডার মন্তব্য করেছেন: ‘‘(কুর্দ বিদ্রোহী গোষ্ঠী) পিকেকে-কে নিয়ে তুরস্কের যে সমস্যা আছে, তা আমি জানি; তা সত্ত্বেও: আইসিস যে একটির পর একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত শহর (অর্থাৎ কোবানি) দখল করবে এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য আরো বড় বিপদ সৃষ্টি করবে, সেটা কোনো সমাধান হতে পারে না৷''

তবে কি কাউডার পরোক্ষভাবে বলছেন যে, জার্মানি পিকেকে-কে অস্ত্রপ্রদানের কথা বিবেচনা করতে পারে?

এসি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)