কোকাকোলা: চিনে নিন প্রিয় পানীয়টিকে
‘‘হাফ-সার্কেল ফুল-সার্কেল হাফ-সার্কেল এ, হাফ-সার্কেল ফুল-সার্কেল রাইট-অ্যাঙ্গেল এ’’ – ‘কোকাকোলা’৷ এই পানীয়টির নাম শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বোধ হয় একটু কঠিন৷ ব্যাপারটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, উৎসব মানেই চাই কোকাকোলা৷
এক দিনে দেড়শ’ কোটি বোতল!
বিশ্বের দু-শ’টিরও বেশি দেশে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দেড়শ’ কোটি বোতল কোকাকোলা বিক্রি হয়৷
শুরুটা ফার্মেসিতে
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটলান্টার চিকিৎসক ড. জন পেমবার্টন ১৮৮৬ সালের ৮ মে প্রথম কোকাকোলার ফর্মুলা তৈরি করেন৷ শুরুর দিকে শুধুমাত্র ওষুধের দোকানে পানীয়টি বিক্রি হতো৷
জনপ্রিয় শব্দ
এক জরিপ বলছে, বিশ্বের প্রায় ৯৪ শতাংশ মানুষ কোকাকোলার নাম জানে৷ আর ‘ওকে’ শব্দের পর কোকাকোলাই হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় শব্দ, যেটা মানুষ উচ্চারণ করে থাকে৷
১,৬৭৭ বার চাঁদে যাওয়া-আসা!
কোকাকোলা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এখন পর্যন্ত যত কোকাকোলা উৎপাদন করা হয়েছে সেগুলো যদি সাড়ে সাত ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের বোতলে (আট আউন্স সমপরিমাণ পানীয়) রাখা হয়, তারপর একটির পর আরেকটি বোতল জোড়া লাগানো হয়, তাহলে যে দৈর্ঘ্যটা হবে, সেটা পৃথিবী থেকে চাঁদে ১,৬৭৭ বার যাওয়া-আসার সমান হবে৷
যেভাবে নামকরণ
কোকাকোলা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় কোকা গাছের পাতা আর কোলা গাছের ফল৷ সেখান থেকেই নাম হয়েছে কোকাকোলা৷ কোকা গাছ সাধারণত দক্ষিণ অ্যামেরিকায় জন্মায়৷ আর কোলা গাছের বাসস্থান পশ্চিম আফ্রিকায়৷
গরম কোক!
কোকাকোলা মানেই ঠান্ডা পানীয়৷ তবে হংকং-এ ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে মুক্তি পেতে পান করা হয় গরম কোকাকোলা!
বছরে জনপ্রতি ১৪০ লিটার
কোন দেশের মানুষ বেশি কোক খায় জানেন? মাল্টা৷ দক্ষিণ ইউরোপের এই দ্বীপ রাষ্ট্রের একেকজন বাসিন্দা বছরে গড়ে ১৪০ লিটার করে কোক পান করেন৷