‘কোপেনহেগেন সমঝোতার’ পক্ষে সমর্থন জোরদার
৩১ মার্চ ২০১০‘জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কাঠামোগত সম্মেলন' (ইউএনএফসিসিসি) বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অগ্রগতির কথা জানায়৷ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী গ্রিন হাউস গ্যাসের শীর্ষ নির্গমনকারী দেশগুলো এ সমর্থন জানানোয় ‘কোপেনহেগেন সমঝোতার' বিষয়ে গত কয়েক মাসের অনিশ্চয়তা কিছুটা হলেও দূর হল৷
গত বছরের ডিসেম্বরে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ‘বিশ্ব উষ্ণায়ন' বা পৃথিবীর সার্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে রাখার বিষয়ে সমঝোতা হয়৷ কিন্তু এটা সহ অন্যান্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তা পূরণে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতায় রাজি হয়নি শীর্ষ নির্গমনকারী দেশগুলো৷ ফলে ১৯৪ জাতির ওই সম্মেলনে কাঙ্খিত ‘জলবায়ু চুক্তি' স্বাক্ষরিত না হলেও আইনি বাধ্যবাধকতাহীন যে সমঝোতা হয়েছে তাকে ‘কোপেনহেগেন সমঝোতা' বলে অভিহিত করা হচ্ছে৷
কোপেনহেগেনে একটি কার্যকর জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরে ব্যর্থতার জন্য শীর্ষ নির্গমনকারী দেশগুলোকে দোষারোপ করে আসছে উন্নয়নশীল দেশগুলো৷ তবে, পূর্ণাঙ্গ চুক্তি না হলেও যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানায় আগ্রহী দেশগুলো ‘কোপেনহেগেন সমঝোতার' পক্ষে আনুষ্ঠানিক সমর্থন জানাতে পারে৷ এ প্রক্রিয়াতেই এ পর্যন্ত মোট ১১১টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এতে সমর্থন জানালো৷
কোপেনহেগেন সমঝোতায় বিশ্ব উষ্ণায়ন ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে রাখার লক্ষ্যে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন কমানোর কথা বলা হলেও দেশগুলোকে লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি৷ একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ এবং পরিবেশে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বিশেষ তহবিল গঠনেরও কথা বলা হয়েছে ওই সমঝোতায়৷ তবে, সে বিষয়েও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর দায়দায়িত্ব স্পষ্ট নয় বলে অভিযোগ করে আসছেন সমালোচকরা৷
প্রতিবেদন : মুনীর উদ্দিন আহমেদ
সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক