1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কৃষ্ণা নদীর জল নিয়ে বিবাদের অবসান

৩০ ডিসেম্বর ২০১০

কৃষ্ণা নদীর জলের ভাগ নিয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘ ৪৩ বছর ধরে যে বিবাদ চলছিল কৃষ্ণা নদীর জল বিবাদ ট্রাইব্যুনালের রায়ে আজ তার অবসান হলো৷ তিনটি রাজ্যই এই রায়ে মোটামুটি সন্তুষ্ট৷

https://p.dw.com/p/zrYZ
কৃষ্ণা নদীর প্রবাহিত জলের সবথেকে বেশি পরিমাণ পাবে অন্ধ্রপ্রদেশছবি: DW

অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কৃষ্ণা নদীর জলের ভাগ নিয়ে তিনটি রাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদের নিষ্পত্তি হলো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ব্রিজেশ কুমার ট্রাইব্যুনালের রায়ে৷ রায়কে স্বাগত জানিয়ে কর্ণাটকের আইনমন্ত্রী সুরেশ কুমার বলেছেন, এটা রাজ্যবাসীকে নতুন বছরের উপহার৷ শুধু তাই নয়, রায় অনুযায়ী বেশি জল ধরে রাখতে কর্ণাটক আলামাট্টি বাঁধের উচ্চতা ৫১০ মিটার থেকে বাড়িয়ে ৫২৪ মিটার করতে পারবে৷ যেটা নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের আপত্তি ছিল৷ কৃষ্ণা নদীর বাড়তি জলের আরো ১৭৭ টিএমসি ফুট পাবে কর্ণাটক৷ গ্রীষ্মকালে ৮-১০ টিএমসি ফুট জল অন্ধ্রপ্রদেশকে দেবার যে কথা বলা হয়েছে, তাতে রাজ্যের কোন আপত্তি নেই, বলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী৷

ট্রাইব্যুনালের রায় অনুযায়ী কৃষ্ণা নদীর প্রবাহিত জলের সবথেকে বেশি পরিমাণ পাবে অন্ধ্রপ্রদেশ৷ এই রাজ্যের অভিযোগ ছিল, গত ৩০ বছর ধরে উজানের রাজ্য কর্ণাটক আন্ত:রাজ্য চুক্তি লঙ্ঘন করে বাড়তি জল টেনে নিচ্ছিল শিল্পকারখানার কাজে৷ ফলে ভাটির দিকে রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ কম জল পেত৷ মহারাষ্ট্র তার জলের ভাগ নেয়া শুরু করলে তা আরো কমে যায়৷ ১৯৭২ সালে তাই অন্ধ্রপ্রদেশকে বাড়তি জলের সবটাই দেয়া হতো৷ তবে রায়ে বাড়তি জল ভাগ হওয়ায় অন্ধ্রের সেচ প্রকল্পগুলি মার খাবে৷ অন্ধ্র সরকার প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার সেচ প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছিল৷ ভবিষ্যতে জল ব্যবহার করতে হবে ট্রাইব্যুনালের রায় অনুসারে৷ অন্ধ্রপ্রদেশ জল সম্পদ মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে৷ জুন-জুলাই মাসে কর্ণাটককে বাড়তি জল ছাড়তে বলা হয়েছে এবং সে জল কর্ণাটককে দিতে হবে৷

কেন্দ্রীয় সরকার ট্রাইব্যুনালের রায় কার্যকর করতে তিন মাস পর গঠন করবে কৃষ্ণা নদীর জল বাঁটোয়ারা পর্ষদ৷এই তিনমাসের মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে পারবে তিনটি রাজ্য৷ তবে রায় কোন আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবেনা৷ মহারাষ্ট্রের জলসম্পদমন্ত্রী আর.নিম্বালকার বলেন, যা চাই তার ১০০ভাগ দেয়া কখনই সম্ভব নয় তাই চ্যালেঞ্জ করার সম্ভাবনা নেই৷ উল্লেখ্য, এই ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয় ২০০৪সালে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক