1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কৃষ্ণাঙ্গ দৌড়বীরদের সাফল্যের রহস্য: নাভির উচ্চতা

১৩ জুলাই ২০১০

বিজ্ঞান জাতিবাদ চেনে না, কিন্তু জাতি চেনে৷ তাই বছর দশেক ধরে গবেষণা চলছিল, কৃষ্ণাঙ্গরা ট্র্যাক দৌড়ে এ্যাতো ভালো কেন, আর শ্বেতাঙ্গরা এ্যাতো ভালো সাঁতারু হয় কি করে৷

https://p.dw.com/p/OHgo
মার্কিন, বোল্ট, Bolt, Usain
ট্র্যাকে জামাইকার ইউসেইন বোল্টছবি: AP

‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ডিজাইন এ্যান্ড নেচার এ্যান্ড ইকোডাইনামিক্স' নামধারী পত্রিকাটিতে মাত্র এই সোমবার সেই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে৷ এবং দৌড় কিংবা সাঁতারে সাফল্যের কারণ হিসেবে গাত্রবর্ণের পরিবর্তে দেখা যাচ্ছে, নাভির উচ্চতাই হল রহস্যের সমাধান৷

নাভি হল শরীরের মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্রবিন্দু৷ এবং দৌড়বীর কি সাঁতারুর নাভির উচ্চতাই তার সাফল্যের কারণ৷ যেমন দৌড় মানে ক্রমাগত সামনের দিকে পড়ে যাওয়া৷ এবং আমরা সকলেই জানি, যে বস্তু যতো ওপর থেকে পড়বে, তা ত'তো দ্রুতগতিতে পড়বে৷ এখন গবেষণায় দেখা গেছে যে, পশ্চিম আফ্রিকান বংশোদ্ভূত দৌড়বীরদের পা - শরীরের অনুপাতে - ইউরোপীয় দৌড়বীরদের চেয়ে লম্বা৷ অর্থাৎ এই কৃষ্ণাঙ্গ দৌড়বীরদের নাভির উচ্চতা বেশী, গড়ে তিন সেন্টিমিটার৷ অন্যভাবে বলতে গেলে, তাদের ‘‘গোপন উচ্চতা'' শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে তিন শতাংশ বেশী৷

ফেল্পস, সাঁতারু, মার্কিন, Michael, Phelps
মার্কিন সাঁতারু মাইকেল ফেল্পস (ফাইল ফটো)ছবি: AP

অপরদিকে সাঁতার মানে হল শরীর যে ঢেউটা তৈরী করছে, তার উপর ভেসে থাকা৷ এক্ষেত্রে পায়ের বদলে যে সাঁতারুর টর্সো, অর্থাৎ কবন্ধ বা শরীরটা লম্বা, সে আরো বড় ঢেউ তৈরী করবে৷ শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয়দের টর্সো কৃষ্ণাঙ্গদের চেয়ে তিন শতাংশ বেশী লম্বা৷ সাঁতারে সেটা গিয়ে দাঁড়ায় দেড় শতাংশ বেশী গতিবেগে৷ ফলে শ্বেতাঙ্গ সাঁতারুদের সাফল্য৷

এখন প্রশ্ন হল, এশীয়রা কি তাহলে বাদ পড়বে? এশীয়রা ইউরোপীয়দের মতোই লম্বা টর্সোর দলে পড়ে বটে, কিন্তু তাদের সামগ্রিক উচ্চতা কম বলে তারা ইউরোপীয়দের সাঁতারে হারাতে পারে না৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই