1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কুলিং প্ল্যান্টের জন্য বিদ্যুৎ মিলল, ফুকুশিমায় আশার আলো

২০ মার্চ ২০১১

মেল্টডাউন যদি হয়, তাহলে তো রক্ষা নেই জাপানের৷ ফুকুশিমার চুল্লিকে ঠাণ্ডা করার আপ্রাণ চেষ্টা তাই অব্যাহত৷ কিন্তু, সেই চুল্লির কুলিং প্ল্যান্টের জন্য বিদ্যুৎ পেতে শুরু করায় অন্য একটা আশার আলো দেখা গেছে৷

https://p.dw.com/p/10cpr
ফুকুশিমাকে ঠান্ডা করার চেষ্টার শেষ নেইছবি: AP

মেল্টডাউনকে থামাতে মরিয়া হয়ে পড়া জাপানের ধুরন্ধর ইঞ্জিনিয়াররা এক আশ্চর্য পথ বের করে ফেলেছেন৷ যে ফুকুশিমাকে নিয়ে এত গোলমাল, তারই একটা চুল্লির সঙ্গে ইলেকট্রিক তার সংযোগ স্থাপন করে বিদ্যুৎ টেনে নিতে শুরু করেছেন তাঁরা৷ ফলে ফুকুশিমার চুল্লিকে ঠান্ডা করার আরেকটা দাওয়াইও মিলে গেছে৷

বিদ্যুৎসংযোগ পাওয়ার পরেও প্রশ্ন আছে অনেক৷ আদৌ এই বিদ্যুৎ কী কাজ করবে? চুল্লির শীতল করার প্ল্যান্টকে চালাতে পারবে কী আবার এই বিদ্যুৎ? এ প্রশ্ন যেমন আছে, তেমনি একটু স্বস্তির ছাপও দেখা গেছে কর্মীদের মুখে৷

তবে সুনামি আর ভূমিকম্পে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যতই ক্ষতি হয়ে থাকুক, কুলিং প্ল্যান্ট চলবেই৷ বলছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ৷ কুলিং প্ল্যান্টকে বন্ধ রাখা হয়েছিল, সেটায় তেমন ক্ষতি হয়নি৷ প্রয়োজন ছিল বিদ্যুৎসংযোগের৷ এখন যখন বিদ্যুতের সরবরাহটা সুনিশ্চিত করা গেল, তখন কেনই বা প্ল্যান্ট চলবে না?

ফুকুশিমার আশপাশ থেকে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা গেছে পালং শাক, দুধ ইত্যাদিতে মিলছে তেজস্ক্রিয়তা৷ তবে তার মাত্রা খুবই নগণ্য৷ অন্যদিকে, ফুকুশিমার পারমাণবিক বিপর্যয়ের মাত্রাকে চার থেকে পাঁচে তুলে নিয়ে গেছে জাপান৷ মনে রাখা ভালো, এর চরম মাত্রা হচ্ছে সাত৷ যা কিনা রাশিয়ার চেরনোবিলে ঘটেছিল৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এতবড় বিপর্যয়ের মুখে আর কখনো পড়েনি জাপান৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী