1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কিরঘিজস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার

৭ এপ্রিল ২০১০

কিরঘিজস্তানে তুমুল বিক্ষোভে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মলডোমুসা কংগানতিয়েভ নিহত হয়েছেন৷সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশের গুলিতে এই পর্যন্ত ১৭ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে৷

https://p.dw.com/p/MpeD
রাজধানী বিশকেক-এর পথে জ্বলছে আগুনছবি: AP

পরিস্থিতি এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে

এক কথায় বলতে হচ্ছে যে এই পরিস্থিতি এখন সরকার বা বিরোধী দল, কারও নিয়ন্ত্রণেই নেই৷ প্রেসিডেন্ট বাকিয়েভের পদত্যাগের দাবিতেই এই আন্দোলন৷ আন্দোলনকারীদের দাবি প্রেসিডেন্ট চরম দুর্নীতিবাজ৷শুরুতে এই বিক্ষোভ এতটা চরম আকার ধারণ করবে, তা ভাবা হয়নি৷ রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ হচ্ছেই৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কয়েকজন বিক্ষোভকারী পুলিশের কাছ থেকে মেশিনগান ছিনিয়ে নিয়েছে৷ বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে৷

হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাজধানীর প্রধান সরকারি ভবনটি দখল করার চেষ্টা করে৷ পুলিশের রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস কিংবা গরম পানি ছুঁড়েও যখন তাদের প্রতিহত করা যাচ্ছিলো না, তখন গুলি চালানো হয়৷ গুলির আঘাতে মারা যায় ১৭ জন বিক্ষোভকারী৷ এরই মধ্যে বিরোধী প্রতিবাদকারীরা বুধবার কিরঘিজস্তান টেলিভিশন কেন্দ্রে প্রবেশ করে সব চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রাখতে বাধ্য করেছে৷ শহরে দোকানপাট এবং যান চলাচল বন্ধ রয়েছে৷ জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে রাজধানি বিশকেক সহ চারটি শহরে৷

Flash-Galerie Kirgisistan Proteste
রাজধানী বিশকেক-এর একটি সরকারি দপ্তরের সামনে উদ্বিগ্ন নগরবাসীর ভিড়৷ছবি: AP

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মলডোমুসা কংগানতিয়েভ নিহত হলেন কি ভাবে

ঘটনাটি ঘটে তালাস শহরে৷ সেখানেই ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ মঙ্গলবার বিক্ষোভের সূ্ত্রপাত হয়েছিল সেই শহরেই৷ রুশ সংবাদ সংস্থাগুলোর খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা তালাস শহরের আঞ্চলিক সরকারি সদর দপ্তরগুলোর নিয়ন্ত্রণ হাতে তুলে নিয়েছে এবং এইসব ভবনগুলোর অন্তত একটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে৷ এখানকার একটি অফিসে প্রথমে জিম্মি করা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে৷ তবে জনরোষ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হত্যা করে বিক্ষোভকারীরা৷

বিরোধী দলগুলোর নেতারা কোথায়

এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল বিরোধী দলের জোট ‘দ্য ইউনাইটেড পিপলস মুভমেন্ট'৷ জোটের দশ শীর্ষ রাজনীতিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ পরে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়৷ বিরোধীদল বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং এখন জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব নয়৷ বিরোধীদলের অনেক নেতা ইতোমধ্যেই আত্মগোপন করেছেন৷

আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া

কিরঘিজস্তানের রাজধানী বিশকেক-এর মার্কিন এবং রুশ দূতাবাস থেকে ইস্যু করা বিবৃতিতে সংঘর্ষের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে শান্তির আহ্বান জানানো হয়েছে৷ বিশকেকের মার্কিন দূতাবাস তালাসে বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ''সরকারপক্ষ এবং প্রতিবাদকারী সবাইকেই আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো এবং শান্তিপূর্ণ ও বৈধ উপায়ে মতপার্থক্য দুর করার জন্যে আহ্বান জানাচ্ছি ৷''

প্রতিবেদক : সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়