1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কিম জং উনকে ‘রকেট ম্যান’ বললেন ট্রাম্প

২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘে দেয়া তাঁর প্রথম বক্তব্যে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন৷ ইরান, সিরিয়া ও ভেনেজুয়েলা প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন৷

https://p.dw.com/p/2kLE4
ছবি: Reuters/E. Munoz

উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি সারা বিশ্বের জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প৷দেশটির নেতা কিম জং উনকে ‘রকেট ম্যান’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘‘রকেট ম্যান নিজের ও তাঁর শাসনামলের জন্য আত্মহত্যামূলক মিশনে নেমেছেন৷’’ যুক্তরাষ্ট্রকে যদি নিজ দেশ ও তাঁর মিত্রদের রক্ষা করতে বাধ্য করা হয়, তাহলে ‘উত্তর কোরিয়াকে পুরো ধ্বংস’ করে দেয়ার অঙ্গীকার করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷

ট্রাম্পের সহযোগীরা জানিয়েছেন, বক্তব্য শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে প্রেসিডেন্ট নিজেই ‘রকেট ম্যান’ শব্দটি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷

জাতিসংঘে ট্রাম্পের বক্তব্য শুরুর আগে অধিবেশন স্থল ত্যাগ করেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত ও ঊর্ধ্বতন আরেক কূটনীতিক৷

ইরানের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, দেশটির প্রধান রপ্তানি পণ্য হচ্ছে ‘সহিংসতা, রক্তপাত ও বিশৃঙ্খলা’৷ সিরিয়ার আসাদ, লেবাননের হিজবুল্লাহ জঙ্গি গোষ্ঠী ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গ্রুপদের সমর্থনে তেহরান তার সম্পদ ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে সব দেশকে একত্রে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি৷ জাতিসংঘের সমর্থনে ইরানের সঙ্গে সই হওয়া চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘একটি অস্বস্তি’ বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প৷ চুক্তিটি অন্যতম বাজে আন্তর্জাতিক চুক্তি বলেও মনে করেন তিনি৷

এছাড়া ট্রাম্প জাতিসংঘে দেয়া তাঁর প্রথম বক্তব্যে সিরিয়ার আসাদ সরকারকে ‘ক্রিমিনাল রেজিম’ এবং ভেনেজুয়েলার সরকারকে ‘দুর্ভাগ্যমূলক শাসনামল’ বলে আখ্যায়িত করেছেন৷ তবে রাশিয়া সম্পর্কে খুব কম কথাই বলেছেন তিনি৷

প্রতিক্রিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের হুমকিকে ‘কঠোর’ ও ‘সুনির্দিষ্ট’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের বক্তব্য সম্পর্কে টুইটারে লিখেছেন, ‘‘জাতিসংঘে আমার ৩০ বছরের অভিজ্ঞতায় এমন সাহসী বক্তব্য আর শুনিনি৷’’

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, ট্রাম্পের ‘হেট স্পিচ’ মধ্যযুগের সঙ্গে মানানসই, একবিংশ শতকের সঙ্গে নয়৷ তাই ট্রাম্পের বক্তব্য প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো নয় বলে মনে করেন তিনি৷

এদিকে, ডয়চে ভেলের যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি আলেকজান্দ্রা ফন নামেনের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্পের বক্তব্য সম্পর্কে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান ন্যাটো মহাসচিব ইয়েন্স স্ট্যোলেনব্যার্গ৷

জেডএইচ/এসিবি (এপি, এএফপি)