কায়রোর আকাশে জঙ্গি বিমান, বিক্ষোভ থামেনি
৩১ জানুয়ারি ২০১১সর্বশেষ পরিস্থিতি
গণবিক্ষোভের ষষ্ঠ দিনে কায়রোর আকাশে জঙ্গি বিমান উড়তে দেখা গেছে৷ তাহরির চত্বরের উপরে চক্কর দিচ্ছে সামরিক হেলিকপ্টার৷ কায়রোর রাস্তায় ট্যাংকের সংখ্যাও বাড়ছে৷ তবে, এতে বিক্ষোভকারীদের অবস্থানে কোন পরিবর্তন আসেনি৷ বরং হোসনি মোবারকের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার প্রতিবাদকারীরা৷ সান্ধ্য আইন অমাণ্য করে তাই রাস্তায় অবস্থান করছে হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ মানুষ৷
এখানে বলা প্রয়োজন, সেনাবাহিনী রাস্তায় উপস্থিত থাকলেও বিক্ষোভরতদের ছত্রভঙ্গ করতে তেমন উদ্যোগী হচ্ছে না৷ তাছাড়া শুধু কায়রো নয়, বিক্ষোভ চলছে আলেকজান্দ্রিয়া, সুয়েজসহ অন্যান্য শহরেও৷ পুলিশ এবং চিকিৎসকদের বরাতে জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, ছয়দিনের আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ১৫০ জন৷
পদত্যাগের ইঙ্গিত নেই
১৯৮১ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা মোবারক পদত্যাগের কোন ইঙ্গিত দেননি৷ তবে সংকট নিরসনে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শফিককে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ একইসঙ্গে মিশরের বেকারত্ব কমাতে এবং নতুন কর্মসংস্থানের দিকেও মনোযোগী হচ্ছে তাঁর প্রশাসন৷ দেশের অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে ও দুর্নীতি দমনেও নতুন প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন মোবারক৷ তাঁর এই নির্দেশনা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বিবৃতি আকারে প্রচার করা হয়৷
এছাড়া রবিবার সেনাবাহিনীর উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন বর্ষীয়ান এই নেতা৷ ধারণা করা হচ্ছে, মিশরের বর্তমান সংকট নিরসনে প্রভাবশালী সেনাবাহিনী বড় ভূমিকা পালন করবে৷
আন্তর্জাতিক চাপ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিশরে নিয়মতান্ত্রিক পরিবর্তন আনার আহ্বান জানিয়েছে৷ তবে, মোবারককে সড়ে দাঁড়ানোর মতো কোন আহ্বান নেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন বলেছেন, আরো রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে মোবারককে৷ বিশেষ করে মন্ত্রিসভা ভাঙ্গা কিংবা নতুন প্রধানমন্ত্রী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ ছাড়াও আরো সংস্কারের আহ্বান করেছেন হিলারি৷
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল রবিবার রাতে মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন৷ তিনি, নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের উপর শক্তি প্রয়োগ থেকে বিরত রাখতে মোবারকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম