কাসাভের মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় ২১শে ফেব্রুয়ারি
৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১মুম্বই হামলার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে বিশেষ আদালত পাকিস্তানি নাগরিক আজমল কাসাভকে ফাঁসির আদেশ দিলে কাসাভ সেই আদেশের বিরুদ্ধে মুম্বই হাইকোর্টে আপিল করে৷ সে সম্পর্কে চূড়ান্ত রায়দান ২১শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে মুম্বই হাইকোর্ট৷ সংবাদ মাধ্যমের কাছে একথা জানান সরকারি কৌঁসুলি উজ্জ্বল নিকম, মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় দেবেন ২১শে ফেব্রুয়ারি৷ সেই সঙ্গে সহ-অভিযুক্ত ফাহিম আনসারি ও শাহাবুদ্দিনকে বিশেষ আদালতের মুক্তি দেবার আদেশের বিরুদ্ধে সরকার যে আপিল করেছে তার ওপরও ঐ একই দিন রায় দেবেন মুম্বই হাইকোর্ট৷ সরকারি কৌঁসুলি বলেন, এই মামলা সংক্রান্ত আরো কিছু নথিপত্র আদালত খতিয়ে দেখার দরকার আছে বলে মনে করছেন আদালত৷
আসামী কাসাভের আইনজীবী আমিন সোলকার বলেন, এই মামলার বিষয়ে কিছু ব্যাখ্যা বা বাড়তি কিছু প্রশ্নের উত্তর আজ চাইবার কথা ছিল কিন্তু আদালত আজ তা চাননি৷ তাই নিম্ন আদালতের রায়ের ওপরই চুড়ান্ত রায় দেবেন হাইকোর্ট৷ আসামী পক্ষের উকিল কাসাভের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পক্ষে সওয়াল করেন৷ তাঁর মতে ফাঁসি দিলে কাসাভ শহিদের মর্যাদা পাবে৷ সরকারি আইনজীবী অবশ্য তাঁর ফাঁসির আদেশ বহাল রাখার পক্ষেই সওয়াল করেন৷ উল্লেখ্য, কাসাভ ও তাঁর সঙ্গীর গুলিতেই মুম্বই রেল স্টেশনে মারা যায় ৫২জন৷ ২৬/১১-এর সন্ত্রাসী হামলায় মারা যায় মোট ১৭০ জনের বেশি৷
আজ নিয়ে ৪৫ দিন ধরে কাসাভ মামলার আবেদনের শুনানি চলে৷ দু-সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চের এজলাসে আসামিকে হাজির করা হয় ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে৷ আসামি কাসাভ সশরীরে হাজির থাকতে চাইলে নিরাপত্তার কারণে আদালত তা মঞ্জুর করেননি৷ আসামি পক্ষের আইনজীবী শুনানির সময় বলেন কাসাভের দুই সহ-অভিযুক্ত আনসারি ও শাহাবুদ্দিনকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে৷ উত্তরপ্রদেশে ওদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল অন্য মামলায়৷ অন্যদিকে সরকারি কৌঁসুলির বক্তব্য পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই তয়বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে এদের যোগ ছিল এবং হামলার লক্ষ্যস্থলগুলির ম্যাপ তৈরি করে এরাই দিয়েছিল কাসাভদের হাতে৷
ভারতীয় আইন অনুসারে হাইকোর্ট যদি মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন, তাহলেও মামলার এখানেই শেষ হচ্ছেনা৷ আছে সুপ্রিমকোর্টে আপীলের সুযোগ এবং সবশেষে রাষ্ট্রপতির কাছে মার্জনা ভিক্ষা৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন