1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীরে ভারত-বিরোধী জঙ্গিদের মদত দিয়েছে পাকিস্তান: মোশাররফ

১০ অক্টোবর ২০১০

‘কাশ্মীরে ভারতের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য পাকিস্তান জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে’ এমন বিস্ফোরক মন্তব্য, তাও আবার পাকিস্তানের প্রাক্তন সামরিক শাসকের মুখ থেকে৷

https://p.dw.com/p/PaTp
পাকিস্তানের প্রাক্তন সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফছবি: AP

‘ডেয়ার স্পিগেল'এ প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারের ফলে ভারত ও পাকিস্তানে নানা প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে৷

পাকিস্তানের সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর সরকারের ব্যর্থতা সত্ত্বেও সামরিক অভ্যুত্থানের কোনো কারণ দেখছেন না মোশাররফ৷ তাঁর মতে, সামরিক শাসনের যুগ শেষ হয়ে গেছে৷ তবে প্রায় সব ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত সরকারের ব্যর্থতা দেখা যাচ্ছে৷ এই অবস্থায় ঝুঁকি সত্ত্বেও তিনি রাজনীতি জগতে সক্রিয় হয়ে উঠতে চান৷ এমনকি আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হলেও তিনি পিছপা হবেন না৷ মানুষের সমর্থনের বিষয়েও তিনি আত্মবিশ্বাসী৷ ইতিমধ্যেই তিনি যথেষ্ট মাত্রায় আর্থিক ও নৈতিক সমর্থন পাচ্ছেন বলে দাবি করেন৷ বেনজির ভুট্টোর মত পরিণতির ঝুঁকি সম্পর্কেও তিনি সচেতন৷

১৯৯৯ সালে ভারতের বিরুদ্ধে কারগিল যুদ্ধের জন্য মোশাররফের কোনো অনুশোচনা নেই৷ তাঁর মতে, পাকিস্তান যাই করুক না কেন, অভিযোগ আসবেই৷ অথচ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কখনো এমন জবাবদিহি করতে হয় না৷ ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশের জন্মের সময়েও ভারতের ভূমিকার সমালোচনা শোনা যায় নি৷ কারণ সবাই ভারতের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গড়তে চায়৷ এক প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ স্বীকার করেন, ভারত বিরোধী জঙ্গিরা পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ পেয়েছে৷ পশ্চিমা বিশ্ব কাশ্মীর সমস্যা উপেক্ষা করে চলায় যে কোনো দেশের মতো পাকিস্তানকেও নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে হচ্ছে৷

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ সদস্যরা বিদেশে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির গোপন তথ্য পাচার করেছে, পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খানের এই দাবি নস্যাৎ করে দেন মোশাররফ৷ ওয়াশিংটন পাকিস্তানকে পরমাণু অস্ত্র পরিত্যাগ করার প্রস্তাব দিয়েছিল কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ বলেন, পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি দেশের গর্ব৷ তা ছেড়ে দেওয়া হবে দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা৷

মোশাররফ বলেন, আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের সময় পশ্চিমা বিশ্ব মুজাহিদ্দিনদের প্রশিক্ষণ ও তাদের মদত দিয়েছিল৷ অথচ যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তাদের পুনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা হয় নি৷ পাকিস্তানকে একাই এই দায় সামলাতে হয়৷ আজ গোটা বিশ্বকে তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে৷ তাঁর মতে, পশ্চিমা বিশ্ব আরও দুটি ভুল করেছে৷ নাইন ইলেভেনের পর শুধু তালেবানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ঘোষণা না করে তালেবান-বিরোধী পশতুনদের হাত শক্ত করা উচিত ছিল৷ এখন যদি পশ্চিমা শক্তি আচমকা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যায়, তা হবে সবচেয়ে বড় ভুল৷ অথচ ২০১১ সালে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে৷ অর্থাৎ পাকিস্তানকে আবার সেই কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে৷

অনুবাদ: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার