1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কার সঙ্গে জোট গড়বেন ক্লেগ, সেটাই এখন প্রশ্ন

৭ মে ২০১০

সংসদ হচ্ছে ত্রিশঙ্কু৷ কিন্তু কার সঙ্গে জোট বাঁধবে কে? লিব ডেম টোরির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধবে কী? ব্রাউনের দাবি, ক্লেগ-এর দলের সঙ্গে বোঝাপড়া করে নেবেন তিনি৷ কিন্তু ইংল্যন্ড প্রশ্নের জবাব মিলতে সময় লাগবে৷

https://p.dw.com/p/NIwV
টোরি নেতা ক্যামেরনই তাহলে পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী?ছবি: AP

এ পর্যন্ত পাওয়া সর্বশেষ ফলাফলটা আগে একবার দেখে নেওয়া যাক৷ ভোট হয়েছে ৬৪৯ টি আসনে৷ মোট ফলাফল এসেছে ৬৪৮ টি আসনের৷ তার মধ্যে ৩০৫টি আসনের দখল টোরিদের বা রক্ষণশীলদের হাতেই৷ তার মানে মাত্র ২১টি আসন পেলেই নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেতে পারত ক্যামেরনের দল৷ ওদিকে, বেকায়দায় পড়েও লেবারদের দখলে এখনও পর্যন্ত ২৫৮৷ আর লিবারাল ডেমোক্র্যাট দলের নতুন তারকা নিক ক্লেগকে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে মাত্র ৫৭ টি আসনের দখল নিয়েই৷

জয়জয়কার বলা যাচ্ছে না, তবে শেষ হাসি হাসতে চলেছেন ক্যামেরন৷ ব্রিটিশ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দল হিসেবে টোরিরাই উঠে আসছে৷ যদিও সংসদ হবে ত্রিশঙ্কু৷এই মুহূর্তে কী ভাবছেন নিক ক্লেগ? লিবারাল ডেমোক্র্যাটদের পালে এবার বিপুল হাওয়া বলে মন্তব্য করছিলেন যেসব বিশেষজ্ঞ, কোথায় এখন তাঁরা? সরকার গড়ার হিসেব নিকেশ কী শুরু করে দিয়েছেন ক্যামেরন আর তাঁর সঙ্গীসাথিরা?

England TV Duell Nick Clegg David Cameron Gordon Brown Flash
ব্রিটিশ ক্ষমতাকাঠামোর তিন প্রধান স্তম্ভ৷ বাঁদিক থেকে ক্লেগ, ক্যামেরন আর ব্রাউন৷ছবি: picture-alliance/dpa

গর্ডন ব্রাউনের শেষবেলার চেষ্টা কাজে লাগল কিছুটা, মন্তব্য মিডিয়ার৷ কারণ লেবারদের যে বিপুল ধস নামবে বলে মতামত দিচ্ছিল আগাম সমীক্ষা, ততটা ধস কিন্তু নামেনি৷ লেবাররা আসন খুইয়েছে বটে, কিন্তু মুছে যায় নি চালচিত্র থেকে৷ বরং, নির্বাচনের আগে থেকে রীতিমত প্রচারের আলোয় চলে আসা লিবারেল ডেমোক্র্যাট আর তাদের তরুণ নেতা নিক ক্লেগকে ঘিরে যাবতীয় কল্পনার আর প্রত্যাশার ফানুস অনেকটাই ফুটো হয়ে গেছে৷ ক্লেগ আর তাঁর দলের এই বেকায়দা নিয়ে নানা মুনির নানা মত৷ অনেকেই বলছেন, টিভি বিতর্কে ভালো ফলাফল করেছিলেন বটে, তবে তাতে নাকি চিঁড়ে ভেজেনি৷ মন গলে নি ভোটারদের৷ কিংবা মৌখিক সমর্থনের প্রভাব পড়েনি ব্যালট বক্সে৷

আরেকটা নতুন খবর, এই প্রথম ব্রিটিশ রাজনীতির প্রধান মঞ্চে সবুজ দলের ঢুকে পড়া৷ ক্যারোলাইন লুকাস নামের পরিবেশবাদী সবুজ দলের নেত্রী ব্রিটেনের দক্ষিণের সৈকত শহর ব্রাইটন প্যাভিলিয়নের আসনটিতে লেবার প্রার্থীকে হারিয়ে সংসদে চলে এলেন৷ বিলেতি রাজনীতিতে এ এক ঐতিহাসিক ঘটনা৷ যাকে বলে মাইলফলক৷

সুতরাং ‘হাং পার্লামেন্ট, মানে ত্রিশঙ্কু সংসদ৷ এই হাং পার্লামেন্টে কে কার সঙ্গে জোট বাঁধবে বা সরকার গঠনের জন্য কতটা বোঝাপড়া হবে, সেই হিসেবনিকেশ এই মুহূর্তে শুরু হয়ে গেছে৷ লেবাররা প্রায় বারো বছর পর বিরোধী আসনে যাবে, তা মোটের ওপর স্পষ্ট৷ সরকার গড়তে লিব ডেম-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতেই হতে পারে কনজারভেটিভ বা টোরিদের৷ ক্লেগ সেই অর্থে বড়মাপের কিং-মেকার হতে পারলেন না বটে, কিন্তু সরকার গড়তে তাঁর দলকে লাগবেই৷

প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন তাঁর ভাষণে বলেছেন, ক্লেগকে সঙ্গী করে সরকার গড়তে চান তাঁরাই৷ বলা বাহুল্য, সেটা খুব একটা বাস্তব চিন্তা নয়৷ কারণ, লেবারদের সঙ্গে সরকার গড়ার বিষয়ে নিজেদের অনীহা অনেক আগেই জানিয়ে রেখেছিল লিব ডেম৷ ক্লেগ নিজেও বলেছেন, তিনি চান সরকার গড়ুক টোরিরাই৷ করাণ, ম্যানডেট তাদেরই দখলে৷ এটা একটা ইঙ্গিতও হতে পারে টোরিদের জন্য৷ ইঙ্গিত হয়তো বলছে, ‘আমরা আছি ৷ প্রয়োজনে পাবে আমাদের সাহায্য৷'

পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কী তাহলে ডেভিড ক্যামেরন ? আর সংসদে দ্বিতীয় শক্তিশালী পদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে কী নিক ক্লেগ? মানে, যদি টোরি লিব ডেম জোট হয়ে যায় সেক্ষেত্রেই৷ এমন অনেক কিছু নিয়েই এখন জল্পনাকল্পনা শুরু৷

প্রতিবেদন-সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা - আবদুল্লাহ আল ফারুক