1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কারাভাজ্জোর চুরি যাওয়া চিত্রকর্ম উদ্ধার

২৮ জুন ২০১০

৪০০ বছরের পুরনো একটি চিত্রকর্ম উদ্ধার করেছে জার্মান পুলিশ৷ ইতালির অমর শিল্পী কারাভাজ্জোর আঁকা এই ছবি দুই বছর আগে ইউক্রেন থেকে চুরি হয়৷ বার্লিনে বিক্রির সময় এটি ধরা পড়ে৷

https://p.dw.com/p/O58R
The Arrest of Christ / Kiss of Judas
‘দি টেকিং অফ ক্রাইস্ট’ ছবিটি আবার শোভা পাবে জাদুঘরেছবি: picture alliance/dpa

‘দি টেকিং অফ ক্রাইস্ট'- ছবিটিকে মিশেলাঞ্জোলো মেরিসি দ্য কারাভাজ্জোর মাস্টারপিস বলা হয়৷ ১৬০২ সালে আঁকা এই ছবি ছিলো ইউক্রেনের ওডেসার জাদুঘরে৷ ২০০৮ সালের জুলাই মাসে এটি চুরি হয়ে যায়৷ এরপর থেকেই এর সন্ধানে চষে বেড়াচ্ছিলো ইউক্রেন পুলিশ৷ ছবিটি জার্মানিতে গেছে এমন তথ্য পাওয়ার পর জার্মান পুলিশের সহায়তাও চাওয়া হয়৷ শুক্রবার বার্লিনে চুরি করে বিক্রি করার সময় ছবিসহ ধরা পড়েন চারজন৷ পুলিশ বলছে, চিত্রকর্ম চুরির আন্তর্জাতিক চক্রের সদস্য তারা৷ এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে আরো ২০ জনকে৷

ইতালির মিলান শহরে ১৫৭১ সালে জন্ম কারাভাজ্জোর জন্ম৷ মাত্র ছয় বছর বয়সে বাবা এবং এর কিছুদিন পর মাকে হারান তিনি৷ ছোটবেলা থেকেই আঁকাআঁকিতে হাত ভালো ছিলো তাঁর৷ কারাভাজ্জোর বয়স যখন ১৯, তখন পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে মিলান ছেড়ে আশ্রয় নেন রোমে৷ সেখানে শুরুতে প্রচণ্ড অর্থকষ্টে পড়তে হয় তাঁকে৷ এক সময় বিখ্যাত শিল্পীদের নকল ছবি আঁকতে থাকেন তিনি৷ অবস্থা কিছুটা ফিরলে বিচ্ছুরণ হতে থাকে তাঁর স্বপ্রতিভার৷ ১৬০৬ সালে একজনের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন কারাভাজ্জো৷ এতে ওই ব্যক্তি মারা গেলে হুলিয়া মাথায় নিয়ে মাল্টায় পালান তিনি৷ পরে অবশ্য নেপলস ফেরেন৷ ১৬১০ সালে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর৷

কারাভাজ্জোর জীবনাবসানের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শিল্পকর্মের আবেদনও ফুরিয়ে এসেছিলো৷ কিন্তু বিংশ শতকে এসে নতুনভাবে আবিষ্কার করা হয় ইতালির এই শিল্পীকে৷ তাঁর সৃষ্টিতে অনুপ্রেরণা খুঁজে পেলেন আর্তুর ব়্যাঁবো, জোসেফ দ্য রিবেরা প্রমুখ শিল্পীরা৷ ‘দি টেকিং অফ ক্রাইস্ট'- ছবিটি চোরাই বাজারে অন্তত ১০০ কোটি ডলার বিকোতো বলে ধারণা করছেন শিল্পসমঝদাররা৷ তবে পুলিশ উদ্ধার করাতে চোরদের বিশাল ক্ষতি হয়ে গেলো৷ এই ছবিটি এক সময় ফ্রান্স থেকে রাশিয়ায় আনা হয়৷ মস্কোতেই ছিল এটি৷ রুশ বিপ্লবের পর এটি দেওয়া হয় ওডেসার একটি চারুকলা বিদ্যালয়ে৷ পরে এটি স্থান পায় জাদুঘরে৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক