কাতসাভের অপরাধ ও ইসরায়েলের দুঃখ
৩১ ডিসেম্বর ২০১০অভিযোগ
ইসরায়েলের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোশে কাতসাভের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন অন্তত ১০ জন নারী৷ অভিযোগ ধর্ষণ এবং যৌন হয়রানির৷ তবে বেশিরভাগ অভিযোগই আনা হয়েছে ঘটনার অনেক বছর পর, তাই সেগুলো আইনগত ভিত্তি পায়নি বলে আদালত তা আমলে নেননি৷ তবে শেষ পর্যন্ত কাতসাভের সাবেক দুই সহকর্মীর অভিযোগেই ফেঁসে গেলেন তিনি৷ উল্লেখ্য, ২০০০ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কাতসাভ৷ তার আগে তিনি ইসরায়েলের মন্ত্রিসভারও সদস্য ছিলেন৷ ইংরেজি এ আদ্যাক্ষরের এক সহকর্মী জানিয়েছেন, পর্যটন মন্ত্রী থাকাকালে কাতসাভ তাঁকে দুইবার ধর্ষণ করেছেন৷ অন্যদিকে আরও দুই নারীর অভিযোগ প্রেসিডেন্ট থাকাবস্থায় তাদের যৌন হয়রানি করেছেন ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির এই নেতা৷
রায়
ধর্ষণের অভিযোগ প্রথম থেকে কাতসাভ অস্বীকার করে আসলেও তা আমলে নেননি আদালত৷ বরং তারা জানিয়েছেন, আদালতে মিথ্যা বলেছেন কাতসাভ৷ আদালত রায় দেওয়ার সময় বলেন, যখন কোন নারী না বলে, তার অর্থ না-ই৷ আদালত কাতসাভকে বিচারকাজে বাধা সৃষ্টির জন্যও দোষী সাব্যস্ত করেছে৷ উল্লেখ্য, কাতসাভের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে এই বিচার চলে৷
প্রতিক্রিয়া
এই রায়ের পর কোন কথা বলেননি মোশে কাতসাভ৷ তবে তাঁর ছেলে বোয়াজ কাতসাভ দাবি করেছেন যে তাঁর পিতা নির্দোষ৷ কাতসাভের আইনজীবী আভিগডর ফেল্ডম্যান বলেছেন, তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন৷ উল্লেখ্য, ইসরায়েলি আইনে ধর্ষণের শাস্তি সর্বনিম্ন চার থেকে সর্বোচ্চ ১৬ বছরের জেল৷ সুতরাং আপিলে হেরে গেলে কারাগার অপেক্ষা করছে ইসরায়েলের সাবেক প্রেসিডেন্ট এর জন্য৷
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ও লিকুদ পার্টির নেতা বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘দিনটি ইসরায়েল ও দেশবাসীর জন্য একটি দুঃখের দিন৷ তবে আদালত এর মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে আইনের চোখে সকলেই সমান৷'' অন্যদিকে ইসরায়েলি অ্যাটর্নি জেনারেল মোশে লাডোর বলেছেন, ‘‘খুব কম রাষ্ট্রই আছে যারা তাদের রাষ্ট্র প্রধানকে এভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারে৷''
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই