প্রথমদিন যে কোনো কিছু করতে গেলে সবাই একটু অনিশ্চিত থাকে আর সেই কথাই লিখেছেন মিনহাজুল ইসলাম জোবায়ের৷ তাঁর মন্তব্য, ‘‘মনে করেছিলাম রাখা যাবে না, কিন্তু এখন খুব ভালো লাগছে৷ আশা করছি সবগুলো রাখতে পারবো, ইনশাআল্লাহ৷''
প্রথম রোজা একটু কষ্ট হওয়া স্বাভাবিক, তারপরও ভালো লাগছে৷ ফেসবুকে এই মন্তব্য বন্ধু এইচ এম বেলাল উদ্দিনের৷
অন্যদিকে ঘুমকাতুরে বন্ধু হাসান মুন্না মজা করে লিখেছেন, ‘‘ঘুম থেকে উঠলামই তো সাড়ে এগারটায়, আরো পরে বলা যাবে৷''
রোজা রেখে চাকরি, অন্যান্য কাজকর্ম, পড়াশোনা করতে একটু বেশি কষ্ট হয় বৈকি! কথাটা জানিয়েছেন নাহিদ হাসান এভাবে, ‘‘রোজা রাখতে ভালোই লাগছে, তবে ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত টানা ৩টা প্র্যাকটিক্যাল অস্থির কইরা ফেলছে৷''
-
জার্মানিতে রোজার মাস
জার্মানিতে তুর্কি মুসলমানই বেশি
জার্মানিতে প্রায় ৪০ লাখ মুসলমানের বসবাস৷ তাঁদের মধ্যে প্রায় ২,৫ মিলিয়নই তুর্কি বংশোদ্ভূত৷ বাকিরা এসেছেন দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা ও অন্যান্য দেশ থেকে৷ জার্মানির বিভিন্ন শহরে অনেক মসজিদ রয়েছে এবং এর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে৷
-
জার্মানিতে রোজার মাস
সেনাবাহিনীতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা
জার্মান সেনাবাহিনীতে রয়েছে প্রায় হাজার খানেক মুসলমান সৈন্য৷ বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে রোজার সময় মুসলমান সৈন্যদের জন্য রাতেও ক্যান্টিন খোলা রাখা হয়৷
-
জার্মানিতে রোজার মাস
রোজার মাস ত্যাগের মাস
রোজার মাস ত্যাগের আর সংযমের মাস৷ রোজা শুরু হওয়ার ঠিক আগের দিন কোলনে একটি তুর্কি ‘বেকারি’ থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে মিষ্টিজাতীয় লোভনীয় খাবারগুলো৷
-
জার্মানিতে রোজার মাস
তারাবির নামাজ
জার্মানির মসজিদগুলোতে সারা বছরই নামাজ পড়া ও ইবাদত করা হয়৷ তবে রোজার মাসে স্বাভাবিকভাবেই বিশেষ আয়োজন থাকে৷ প্রতিদিনই পড়া হয় তারাবির নামাজ৷ কোলনের একটি মসজিতে তারাবির নামাজে অংশ নেন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসলমানরা৷
-
জার্মানিতে রোজার মাস
ইফতার খাওয়া
সারাদিন রোজা রাখার পর, অন্যান্য দেশের মতো জার্মানির বিভিন্ন মসজিতে ইফতারের আয়োজন করা হয়ে থাকে এবং যে কেউ এই ইফতারে অংশ নিতে পারেন৷ ইফতারের জন্য অনেকেই বাড়ি থেকে প্রচুর খাবার পাঠিয়ে দেন, যাতে রোজাদাররা ভালোভাবে ইফতার করতে পারেন৷ তুর্কি মসজিদগুলোতে অনেকেই শুধু খেজুর আর দুধ দিয়ে রোজা ভেঙে নামাজ পড়েন এবং পরে সবাই মিলে ইফতার করেন৷
-
জার্মানিতে রোজার মাস
মুসলমান মহিলারা
অনেক সময় আলাদাভাবে শুধু মহিলাদের জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়ে থাকে৷ তাঁরা একত্রে নামাজ পড়েন এবং ধর্মীয় নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকেন৷ সেই আলোচনায় স্থান পায় অভিবাসী পরিবারের নানা সমস্যার কথাও৷
-
জার্মানিতে রোজার মাস
রোজার সময় ভিড় কম
জার্মানিতে রয়েছে প্রচুর তু্র্কি রেঁস্তোরা৷ এই রেঁস্তোরার মালিকের ভাষায়, অন্য সময় অনেক ভিড় হলেও রোজার মাসে মানুষ কম আসে৷ রোজার সময় আলাদাভাবে রাতের খাবার তৈরি করা হচ্ছে ছবিতে৷
-
জার্মানিতে রোজার মাস
বাঙালি মসজিদ
বন শহরে বাঙালিদের উদ্যোগে একটি মসজিদ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে শুধু বাঙালি মুসলমান নন অন্যান্য দেশের মুসলমানও আসেন নামাজ পড়তে এবং রোজার সময় ইফতার করতে৷
-
জার্মানিতে রোজার মাস
বার্লিনের মসজিদ
এই মসজিদটি বার্লিন শহরে, যেখানে বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা, বিশেষকরে রোজার সময় একত্রিত হয়ে নামাজ পড়েন, কোরান পড়েন এবং দোয়া করেন সবার মঙ্গল ও শান্তির জন্য৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
মো.আশিকুর রহমানের কাছে প্রথমদিনের রোজা রেখে একটু খারাপ লাগলেও মনটা ভালো লাগছে৷
তবে মো.ওবায়দুল্লাহর কাছে তেমন কষ্ট মনে হচ্ছে না, যতটা কষ্ট হবে বলে তিনি ভেবেছিলেন৷
মো. সবুজ মাহমুদ রোজা রেখে খুবই খুশি৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘এক কথায়, অনেক অনেক ভালো৷''
ভারত থেকে সাজ্জাদ আহমেদ জানিয়েছেন, ‘‘ভালো কাটছে, তাছাড়া রোজার প্রথমদিন মসজিদে অন্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি মুসুল্লিও ছিলেন৷''
ইমরান খান, রোবেল খানফয়সাল আহমেদ শিপন, শেখ আমিনুর রহমান, ইমতিয়াজ আরাফাত, হাবিবুর রহমান, মাজাহারুল হক সজলসহ মোজাহেদ ইসলামের কাছেও রোজার প্রথমদিন খুব ভালো লাগছে, কাটছেও ভালোই৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ