1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কলোসিয়ামের মেরামতিতে ৩৩ মিলিয়ন দেবে ‘টড শু’

৮ ডিসেম্বর ২০১০

কলোসিয়াম৷ রোমের ইতিহাস বিখ্যাত অসাধারণ স্থাপত্যের মেরামতি আশু প্রয়োজন৷ সে কাজেই বিপুল অর্থসাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছেন বিলাসী জুতো নির্মাতা ‘টড শু’-এর মালিক৷

https://p.dw.com/p/QSuw
কলোসিয়ামছবি: AP

এক আধ মিলিয়ন নয়, একেবারে ৩৩ মিলিয়ন ডলার সাহায্য করতে রাজি আছে ‘টড শু'৷ সংস্থার মালিক প্রখ্যাত শু টাইকুন দিয়েগো দেল্লা ভাল্লে৷ আলোকোজ্জ্বল সভায় ইটালির অন্যান্য শিল্পপতিদের সামনে দিয়েগো এক দারুণ বক্তৃতাও দিয়েছেন৷ বলেছেন, ‘আমাদের সুপ্রাচীন ঐতিহ্য কলোসিয়ামকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতেই হবে৷ সরকারের হাতে অত টাকা নেই৷ তাতে কী? আমরা তো আছি! আমরা সকলে মিলে কলোসিয়ামকে বাঁচাই আসুন৷'

সেদিনের কথা নয়৷ রোমান সাম্রাজ্যে ৮০ খৃস্টাব্দে নির্মাণ শেষ হয়েছিল কলোসিয়ামের৷ সেখানে গ্ল্যাডিয়েটরদের সঙ্গে সিংহের লড়াই হত৷ লড়াই হত মানুষের সঙ্গে মানুষেরও৷ একেবারে আমৃত্যু লড়াই৷ রোমান সম্রাট থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত গ্যালারিতে ভিড় করে বসে দেখতেন সেই রুদ্ধশ্বাস দৃশ্য৷ আজ আর লড়াই হয় না বটে, তবে এই প্রাচীন ঐতিহ্যময় কলোসিয়ামকে দেখতে গোটা বিশ্ব থেকে বছরে ছয় মিলিয়ন পর্যটক আজও আসে সেখানে৷ এই অসামান্য দৃশ্যের, সেই অনন্যসাধারণ ইতিহাসকে দেখে শিহরিত হয় সকলে৷

সেই কলোসিয়ামকে এবার বাঁচাতে নেমে পড়েছে শিল্পপতি মহল৷ তার উদ্যোগের শুরুটাই করে দিলেন বিলাসের জুতো ‘টড শু'-এর মালিক৷ বললেন, ইটালির আরেক ঐতিহাসিক ঐতিহ্য, ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি ভিসুভিয়াসের নীচের পম্পেই-এর যে দশা হয়েছে, কলোসিয়ামেরও তাই হক তা আমরা চাই না৷ পম্পেই-এর বহু জায়গাই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভেঙে পড়ছে সম্প্রতি৷ তাই ‘টড শু'-এর উদ্যোগ নিশ্চয়ই সময়োপোযোগী৷

তাহলে কী এবার দেখা যাবে নতুন করে মেরামত করা কলোসিয়ামের সামনে বিজ্ঞাপনের আকারে একখানা পেল্লাই জুতো ঝুলছে? কারণ ‘টড শু'-এর উদ্যোগেই তো হবে এই মেরামতি! দিয়েগো দেল্লা ভাল্লে জানিয়েছেন, একেবারেই নয়৷ টাকা দেব ঠিকই, কিন্তু কোনরকম প্রচার চাই না৷ দিয়েগোর আরও অনুরোধ, তাঁরই মত এভাবেই এগিয়ে আসুক অন্যান্য শিল্পপতিরাও৷

আন্তর্জাতিক মহলে এই উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে৷ বিশেষ করে শিল্পমহল তো দারুণ আহ্লাদিত৷ দিয়েগো দেল্লা ভাল্লে যেরকম চেষ্টা করছেন, সেরকম চেষ্টা অন্যরা করলে আরও ভালো৷ বলছেন তাঁরা৷

সত্যিই, অতিরিক্ত অর্থের এমন চমৎকার সদ্ব্যবহার আর কোথায়ই বা হতে পারে?

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল ফারূক