কলকাতার দেওয়াল কথা বলে
গ্রাফিতি বা দেওয়াল-চিত্র কলকাতায় নতুন নয়৷ রাজনীতি-সচেতন এ শহরে স্লোগান ছাড়াও লেখা হয় অনেক কিছু৷ ভোটে বা মিছিলে যাওয়ার ডাক থেকে পণ্যের বিজ্ঞাপন, দেওয়ালের লাঞ্ছনা চলতেই থাকে৷ এতে মহানগরীর নিজস্ব চরিত্রটাও ফুটে ওঠে বইকি৷
চেনা চেহারা
রাজনৈতিক দেওয়াল লিখন কলকাতার প্রায় সর্বত্র৷ দাঁত বের করা ইটের দেওয়াল, তার ওপরে ভোটের স্লোগান লেখা – এটি কলকাতার খুব চেনা, অতি পরিচিত দেওয়াল-চিত্র৷
ভোটের দেওয়াল
অনেকে মনে করেন, দেওয়াল লিখন কলকাতার এক নিজস্বতা, যাতে শহরটার রাজনৈতিক সচেতনতা প্রকাশ পায়৷ এই যেমন, সামনেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট৷ তাই তো প্রার্থীদের সমর্থনে নতুন উদ্যমে শুরু হয়ে গেছে দেওয়াল লেখা৷
ছড়ায় দেওয়াল
রাজনৈতিক স্লোগানে ছড়া কাটা কলকাতার পুরনো অভ্যেস৷ এখনও তার কিছু নমুনা খুঁজে পাওয়া যায় শহরের দেওয়ালে৷
ব্রিগেডে মিটিং হবে
রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের ডাক, সবই পড়ে শহরের দেওয়ালে৷ এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগেও৷
জানান দেওয়া
অথবা শুধুই নিজেদের রাজনৈতিক মতবাদ জানান দেওয়ার জন্য দেওয়াল লেখা হয়৷ বেশি দেখা যায় কল-কারখানার গেটে৷
বিজ্ঞাপনের দেওয়াল
অনেকেই আবার নিজেদের ব্যবসায়িক বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য বেছে নেন শহরের দেওয়াল৷ নিখরচায় প্রচার৷
অন্য সচেতনতা
তারই মাঝে কোনো দেওয়ালে নজরে পড়ে অন্য ধরনের সমাজ সচেতনতার বার্তা দেওয়ার চেষ্টা৷
সিনেম্যাটিক
‘বিজ্ঞাপন মারিবেন না’ বা ‘দেওয়াল নোংরা করিবেন না’ জাতীয় আবেদন অগ্রাহ্য করেই সরকারি ভবন থেকে গৃহস্থের বাড়ি, সর্বত্র নির্বিচারে দেওয়াল লেখা হয়৷ তাছাড়া ফাঁকা দেওয়াল থাকলে সিনেমার পোস্টার সাঁটা হবে না, তাও কি হয়? এখানে বিজ্ঞাপন মারিবে না বললেও শোনে কে!
শৈল্পিক বেনিয়ম
আবার কোনো দেওয়ালে দেখা যায় শহরটাকে সুন্দর করার চেষ্টা৷ যেমন এই স্কুলের দেওয়ালে৷
স্বাগত ব্যতিক্রম
অনেকে আবার মনে করেন, দেওয়াল লেখাটা এই শহরটার একটা বদভ্যেস, যা শুধু চারপাশটাকে কুশ্রীই করে না, আমাদের সৌন্দর্যবোধের অভাবকেই প্রকট করে৷ তারপরেও স্লোগান-লাঞ্ছিত দেওয়ালের মধ্যেই কখনও কখনও চোখে পড়ে যায় অন্য ধারার নান্দনিক ভাবনা৷ এটি অবশ্য একটি ধর্মস্থানের দেওয়াল৷