1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কর্নাটকে বিজেপি-কংগ্রেস কাজিয়া তুঙ্গে

১৭ মে ২০১১

কর্নাটকে বিজেপি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিরোধী কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির কাজিয়া এখন রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত পৌঁছেছে৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১২১ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী আজ সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে৷

https://p.dw.com/p/11Ho7
মুখ্যমন্ত্রী বি.এস ইয়েদুরাপ্পা ১২১ জন বিধায়ককে আজ রাষ্ট্রপতি প্রতিভা দেবী সিং পাটিলের সামনে হাজির করেনছবি: UNI

কর্নাটকে বিজেপি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই এই যুক্তিতে রাজ্যপাল এইচ.আর ভরদ্বাজ রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারির সুপারিশ করায় তাকে অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক অ্যাখ্যা দিয়ে আজ সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিজেপি সভাপতি নীতিন গাডকড়ির অভিযোগ, রাজ্যপাল কংগ্রেস হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিজেপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মরিয়া৷ উল্লেখ্য, ভরদ্বাজ প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রী৷ বিজেপি সভাপতি মনে করেন, তাঁর ১০১% বিশ্বাস কর্নাটকের বিজেপি সরকার তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে৷

মুখ্যমন্ত্রী বি.এস ইয়েদুরাপ্পা ১২১ জন বিধায়ককে আজ রাষ্ট্রপতি প্রতিভা দেবী সিং পাটিলের সামনে হাজির করেন৷ ২২৫ জনের কর্নাটক বিধানসভায় বর্তমান হিসেবে বিজেপির সঙ্গে আছে ১০৮জন এমএলএ৷ গত বছর দলবিরোধীতার জন্য ১৬জন বিদ্রোহী বিজেপি এমএলএর বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাওযায় বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়৷ এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস মুখপাত্র মনীশ তেওয়ারির বক্তব্য, সেই সময় থেকে বিজেপি এক অবৈধ সরকার চালাচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই৷ সিপিএম মহাসচিব প্রকাশ কারাতের মতে, ১৬ জন বিধায়ক তাঁদের পদ হারানো সত্ত্বেও যেভাবে রাজনৈতিক খেলা চলছে তাতে ইয়েদুরাপ্পার উচিত ইস্তফা দেয়া৷

কিন্তু গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য তাঁদের বিধায়ক পদে পুনরায় বহাল করলে বিজেপি তাঁদের দলে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়৷ সংখ্যার হিসেবে বিধানসভায় কংগ্রেসের এখন আছে ৭০জন এবং জেডি (এস ) দলের ২৬জন বিধায়ক৷

এদিকে, রাজ্যপালের ইস্তফার দাবিতে আজ গোটা কর্নাটক রাজ্য জুড়ে চলে বিজেপি সমর্থকদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ, ধর্ণা এবং রাজ্যপালের কুশপুত্তলিকা দাহ৷ পাল্টা প্রতিবাদে কংগ্রেস সমর্থকরা রাজপথ অবরোধ করে মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা সরকারকে বরখাস্ত করার দাবিতে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক