কম্পিউটার নকশা: তিন আলমারি থেকে হাতের কবজিতে
জার্মান এক প্রকৌশলী গত শতকের চল্লিশের দশকের শুরুতে যে কম্পিউটার উদ্ভাবন করেছিলেন, তার আকার ছিল কাপড় রাখার তিনটি আলমারির সমান৷ ক্রমেই এর আকার কমেছে৷
প্রথম পার্সোনাল কম্পিউটার
এটি সেই মডেলের কম্পিউটার যেটি প্রথমবারের মতো ক্রেতাদের ব্যবহারের জন্য বাজারে ছাড়া হয়েছিল৷ মডেলের নাম ‘কমোডোর পিইটি ২০০১’৷ ক্যানাডিয়ান কোম্পানি ‘কমোডোর ইন্টারন্যাশনাল’ কম্পিউটারটি বাজারে এনেছিল ১৯৭৭ সালে৷
আধুনিক কম্পিউটারের জনক
বাইনারি সিস্টেম ব্যবহার করা প্রথম কম্পিউটারটি উদ্ভাবন করেছিলেন জার্মানির যন্ত্র প্রকৌশলী কনরাড সুজে৷ ১৯৩৮ সালে প্রথমে তিনি প্রোগ্রাম করা যায় এমন ক্যালকুলেটর তৈরি করেছিলেন৷ এর তিন বছর পর ১৯৪১ সালে উদ্ভাবন করেন বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার৷ ‘জেডথ্রি’ নামের ঐ যন্ত্রটির কারণে অনেকে এই জার্মান প্রকৌশলীকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক মনে করেন৷
তিন আলমারির সমান!
ছবিতে দেখছেন জেডথ্রি কম্পিউটারটির একটি মডেল৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সুজের উদ্ভাবন করা আসল কম্পিউটারটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়৷ তাই জার্মানির মিউনিখের একটি জাদুঘরে এই মডেলটি প্রদর্শন করা হচ্ছে৷ দেখতেই পাচ্ছেন প্রথম কম্পিউটারটি প্রায় তিনটি আলমারির সমান ছিল৷ আর ওজন ছিল প্রায় এক মেট্রিক টন!
অ্যাপলের প্রথম পণ্য
এটি ‘অ্যাপল ১’ কম্পিউটার৷ হ্যাঁ, দেখতে টিভির মতো মনে হচ্ছে৷ আর সামনে আছে কিবোর্ড৷ স্টিভ জবসের বন্ধু স্টিউ ওজনিয়াক এটির নকশা করেছিলেন৷ এটি অ্যাপলের প্রথম পণ্য৷
নানা রঙ আর আকারে
মাইক্রোসফটের কাছ থেকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে অ্যাপল তার পণ্যে ভিন্নতা আনার চেষ্টা করে৷ ১৯৯৮ সালে রিলিজ হওয়া আইম্যাক সেই প্রচেষ্টার একটি অংশ৷ আকারে গোল, আর রং বিভিন্ন ধরনের৷
সঙ্গে নিয়ে ঘোরা কম্পিউটার
দিন দিন কম্পিউটারের আকার কমেছে৷ ট্যাবলেট আসায় বর্তমানে সেটা সঙ্গে নিয়ে ঘোরাও যাচ্ছে৷
হাতের কবজিতে কম্পিউটার
স্মার্টওয়াচ এসেছে কয়েক বছর হলো৷ ফলে এখন আমরা হাতের কবজিতেই কম্পিউটার বহন করতে পারছি৷ স্মার্টওয়াচ দিয়ে সময় দেখার পাশাপাশি ই-মেল পড়া, স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা সম্ভব হচ্ছে৷