1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘কমফোর্ট ওমেন’ নিয়ে চুক্তি

২৮ ডিসেম্বর ২০১৫

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি সৈন্যরা বহু দক্ষিণ কোরীয় নারীকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করেছে৷ তাঁরাই ‘কমফোর্ট ওমেন’ নামে পরিচিত৷ দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই ইস্যুটি বেশ স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচিত৷

https://p.dw.com/p/1HUTJ
Südkoreanerin Lee Ok-Seong
ছবি: Tsukasa Yajima

সোমবার দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে৷ এর আওতায় জাপান দক্ষিণ কোরিয়াকে এক বিলিয়ন ইয়েন (৮.৩ মিলিয়ন ডলার বা ৬৫ কোটি টাকার কিছু বেশি) দিতে রাজি হয়েছে৷ এই অর্থ দিয়ে কোরিয়া একটি ফাউন্ডেশন গড়ে তুলবে, যেটা বেঁচে থাকা যৌনদাসীদের দেখভাল করবে৷ বর্তমানে ৪৬ জন দক্ষিণ কোরীয় কমফোর্ট ওমেন বেঁচে আছেন৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি সৈন্যরা বহু নারীকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করে৷ সংখ্যাটি দুই লক্ষ পর্যন্ত হতে পারে৷ এর বেশিরভাগই ছিলেন কোরিয়ান৷ ১৯১০ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত কোরিয়া শাসন করে জাপান৷

চুক্তি অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়া রাজধানী সৌলে জাপান দূতাবাসের সামনে থাকা একটি ভাস্কর্য অন্যত্র সরিয়ে নেবে৷ ভাস্কর্যটি ‘কমফোর্ট ওমেন' এর আদলে তৈরি৷ জাপান একে ‘অস্বস্তিকর' ও ‘অপমানজনক' হিসেবে দেখে থাকে৷

Seoul Südkorea Statue Comfort Woman vor der japanischen Botschaft
সৌলে জাপান দূতাবাসের সামনে থাকা ভাস্কর্যছবি: Getty Images/C. Sung-Jun

এর আগে ১৯৯৩ সালে এক বিবৃতিতে জাপান কোরীয় কমফোর্ট ওমেনদের কাছে ‘গভীর ক্ষমা ও অনুশোচনা' প্রকাশ করেছিল৷ কমফোর্ট নারী হিসেবে তাঁরা ‘সীমাহীন কষ্ট' এবং ‘অনিরাময়যোগ্য শারীরিক ও মানসিক ব্যথা' সহ্য করেছেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়৷

চুক্তি সইয়ের পর জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, ‘‘এটি ক্ষতিপূরণ নয়৷ এটি একটি প্রকল্প, যার মাধ্যমে কমফোর্ট ওমেনদের সম্মান ও মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া হবে৷'' জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ভুক্তভোগীদের প্রতি ‘তাঁর অন্তরের অন্তস্থল থেকে ক্ষমা ও অনুশোচনা' প্রকাশ করেছে বলেও জানান তিনি৷

তবে এই চুক্তিকে বৈধ বলে বিবেচনা করছেন না কমফোর্ট ওমেন লি ইয়ং-সু৷ তিনি আইনগতভাবে বিষয়টির সুরাহা চেয়েছেন৷

এদিকে, কমফোর্ট ওমেনদের জন্য জাপানের এই অর্থ দান উদারতার পরিচয় হলেও তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন টুইটার ব্যবহারকারী জ্যাক ডিসেলো৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য