‘কমদামে ডায়রিয়া প্রতিষেধক টিকা’ | পাঠক ভাবনা | DW | 17.05.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘কমদামে ডায়রিয়া প্রতিষেধক টিকা’

পারিবারিক ও পেশাগত ব্যস্ততাজনিত কারণে সাময়িক বিরতি নিতে বাধ্য হওয়ার পর আজ আবার লিখতে বসেছি৷ হাতে কিছুটা বাড়তি সময় রয়েছে এবং বেশ সময়োপযোগী একটি প্রতিবেদন চোখে পড়ল আপনাদের ওয়েবসাইটে, তাই লিখতে বসলাম৷

A girl from Pauktaw township sits in her family's shelter at a Rohingya internally displaced person (IDP) camp outside of Sittwe, May 15, 2013. Authorities in Myanmar struggled on Wednesday to evacuate tens of thousands of people, most of them Rohingya Muslims, before Cyclone Mahasen reaches camps in low-lying regions that have been their home since ethnic and religious unrest last year. REUTERS/Soe Zeya Tun (MYANMAR - Tags: SOCIETY ENVIRONMENT)

Myanmar Zyklon Mahasen Golf von Bengalen

এ সময় ভারতে গ্রীষ্ম যথারীতি অপ্রতিহত গতিতে রাজ্যপাট চালিয়ে যাচ্ছে৷ নদী, নালা, পুকুর, ডোবা, খালবিল শুষ্কপ্রায়৷ দেশের এক বিরাট অংশের মানুষ এসময় নিরাপদ পানীয় জল যোগাড় করতে অসমর্থ হয়৷ এরপরই আসে বর্ষা৷ সেই সময় বৃষ্টির জল দ্বারা বাহিত হয়ে বহু দূষণকারী পদার্থ গ্রামাঞ্চলের পানীয় জলের উৎসগুলিকে করে তোলে বিষাক্ত৷ ফলে শুরু হয়ে যায় ডায়রিয়া৷ বর্ষাকালে অনেকগুণে বেড়ে যাওয়া মাছি আর পোকামাকড় পরিস্থিতিকে করে তোলে জটিল৷ ফলে বহু গ্রামে প্রতি বছর মহামারীর আকারে ডায়রিয়া রোগ ছড়িয়ে পড়ে৷ প্রাণ যায় বহু মানুষের, যাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশ মারাত্মক৷ এমত পরিস্থিতিতে আজ ‘কমদামে ডায়রিয়া প্রতিষেধক টিকা তৈরি করলো ভারত' প্রতিবেদনটি আগামী দিনের জন্য এক বিরাট সুখবর বহন করে আনলো৷

ডায়রিয়া, কলেরা ইত্যাদি রোগগুলির মূল কারণ ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া যাই হোক না কেন, ভারতে ডায়রিয়ার প্রতিবছর মহামারীর আকার নেওয়ার একমাত্র কারণ সাধারণ মানুষের মধ্যে চেতনার অভাব এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় পরিচ্ছন্নতার প্রতি উদাসীনতা৷ তাই রাষ্ট্রের বহু প্রচেষ্টা সত্ত্বেও মহামারীরূপে ডায়রিয়ার অনিবার্য বার্ষিক আবির্ভাব ঠেকানো যায়নি৷ তারই ফলশ্রুতি প্রতি বছর ১ বছরের কম বয়সি প্রায় এক লক্ষ শিশুর মৃত্যু৷ তবুও হু'র সহায়তায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দ্বারা ব্যাপকভাবে ও আরএস পাউডার বিতরণের ফলে ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর অপ্রতিহত গতিতে কিছুটা হলেও লাগাম পরানো গেছে৷

সবশেষে পাঠকদের কাছে একটি অনুরোধ, ডায়রিয়ার মরশুম শুরু হতে চলেছে৷ এই রোগে দরিদ্র মানুষেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হন সবচেয়ে বেশি৷ যদি আপনাদের আশেপাশে কারো ডায়রিয়া হয়েছে, এমন খবর পান, তাহলে দয়া করে, তাঁকে নিকটবর্তী সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে একটু সাহায্য করবেন৷ একেবারে বিনা পয়সায় সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলার পূর্ণ ব্যবস্থা স্বাস্থ্যদপ্তরের আছে, দপ্তরের সাথে যুক্ত থাকার সুবাদে এটা আমি জানি৷ তাছাড়াও কোনও এলাকায় ডায়রিয়া শুরুর খবর যত দ্রুত পাওয়া যাবে, তত দ্রুত ঐ এলাকায় সেটা ছড়িয়ে পড়া আটকানো যাবে৷ সবাই ভালো থাকবেন৷ নমস্কার নেবেন৷ এভাবেই লিখেছেন কেকা প্রধান, পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ থেকে৷

রাইন নদীর বুকে চকলেট মিউজিয়ামের ছবি দেখলাম ভালো লাগলো৷ চকলেটের যে মিউজিয়াম হতে পারে এমন খবর এই প্রথম ডয়চে ভেলে থেকে জানলাম৷ বিধান চন্দ্র টিকাদার, ঢাকার গুলশান থেকে জানিয়েছেন৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন