1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কঙ্গোর সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট বেম্বার বিচার শুরু

২২ নভেম্বর ২০১০

ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট জাঁ পিয়ের বেম্বার যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হলো সোমবার৷ দ্য হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত - আইসিসি’তে শুরু হয়েছে বেম্বার বিচার প্রক্রিয়া৷

https://p.dw.com/p/QF6a
Jean-Pierre, Bemba, court, International Criminal, Hague, Netherlands, কঙ্গো, ভাইস-প্রেসিডেন্ট, বেম্বা, আইন, বিচার, যুদ্ধ
জাঁ পিয়ের বেম্বা (ফাইল ছবি)ছবি: AP

বেম্বার বিরুদ্ধে তিন ধরণের যুদ্ধাপরাধ এবং দুই ধরণের মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে৷ ২০০২ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে তাঁর নেতৃত্বাধীন কঙ্গোলিজ স্বাধীনতা আন্দোলন - এমএলসি'র প্রায় দেড় হাজার সদস্যের নৃশংসতার জন্যই বিচারের মুখোমুখি বেম্বা৷ সেসময় সেন্ট্রাল আফ্রিকান প্রেসিডেন্ট আঁজে-ফেলিক্স পাতাসের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান প্রতিরোধে মাঠে নেমেছিল বেম্বার বাহিনী৷ এই বিচার প্রক্রিয়াকে অন্যান্য দেশের শীর্ষ নেতাদের জন্যও একটা সতর্কবাণী হিসেবে দেখা হচ্ছে৷ কারণ এটি ইঙ্গিত দেয় যে, সেনাবাহিনীর যৌন নির্যাতনের জন্য রাষ্ট্র প্রধান কিংবা সামরিক প্রধানদেরকেও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে৷

আইসিসি'র প্রধান কৌঁসুলি লুই মোরেনো-ওকাম্পো সাংবাদিকদের বলেন, এমএলসি সেনারা বিদ্রোহীদের অঞ্চল দখল করার পর সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধর্ষণ, লুটপাট এবং খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে৷ বাঙ্গুই শহরে সেসময় মাত্র পাঁচ মাসে ৪০০ ধর্ষণের অভিযোগ নথিভুক্ত হয়৷ ধর্ষণের শিকার হয়েছে আট থেকে ৭০ বছরের নারী ও শিশুরাও৷

আইসিসি'র জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আওতায় ২০০৮ সালের মে মাসে ব্রাসেলসে গ্রেপ্তার হন বেম্বা৷ আন্তর্জাতিক আদালতের কৌঁসুলির দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, সৈন্যদের কৃতকর্ম তথা ধর্ষণ এবং অন্যান্য অপরাধের জন্য কোন সেনা কমান্ডারের বিচারের ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসে এটিই প্রথম৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক